Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। ইবাটিন এক ধরনের এনটিহিস্টামিন যা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করবো। আজকের আর্টিকেলটি পুরোপুরি পডলে আপনারা ইবাটিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাই ধৈর্য সহকারে মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ুন

ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিন

আপনারা যখন ঔষধের দোকানে যান তখন দেখবেন লোকজন ইবাটিন কিনছেন। তবে আপনাদেরকে আগেই বলে রাখি শুধু গুগল সার্চ করে বা ইনফর্মেশন জেনে কোন ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। যেহেতু ইবাটিন একটি ঔষধ তাই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এইটি খাওয়া উচিত নয়।

পেজ সুচিপত্র

Ebatin | ইবাটিন কি

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নেওয়ার আগে জানা দরকার ইবাটিন কি সে সম্পর্কে। ইবাটিন হলো একটি ঔষধ বা মেডিসিনের নাম যা ট্যাবলেট ও সিরাপ আকারে ঔষধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়।  ইবাটিনের জেনেরিক নাম হলো  ইবাসটিন (Ebastine) যা এ্যনটিহিস্টামিন গ্রুপের একটি ঔষধ। ইবাটিন বিভিন্ন ডোজেজ ফর্মে কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

  • ইবাটিন ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Ebatin 10 mg),
  • ইবাটিন ফাস্ট ১০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট (Ebatin 10mg Fast Tablet)
  • ইবাটিন সিরাপ ৩০ এমএল (Ebatin ৩0 ml) (5 mg / 5ml Syrup),
  • ইবাটিন সিরাপ ৫০ এমএল (Ebatin 50 ml) (5 mg / 5ml Syrup).

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ কি

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনামে এখন আপনারা জানতে পারবেন ইবাটিন কি কাজ করে বা কোন কোন রোগ সারাতে কাজ করে। যেহেতু এটি একটি এন্টিহিস্টামিন ঔষধ তাই এলার্জিক কন্ডিশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ইবাটিন যে রোগের জন্য নির্দেশিত সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো।

  • চোখ লাল হওয়া ও পানি ঝরা,
  • চোখ চুলকানো,
  • হাঁচি,
  • সর্দি বা নাক দিয়ে পানি পড়া,
  • গলা চুলকানো,
  • সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস,
  • সারা শরীর চুলকানো,
  • ঠান্ডা জড়িত সমস্যা,
  • ক্রনিক ইডোপ্যাথিক আর্টিকেরিয়া,
  • বিভিন্ন এলার্জিক লক্ষণগুলি উপশম করার জন্য।

Ebatin | ইবাটিন খাওয়ার নিয়ম

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনামে এখন আমরা আলোচনা করবো ইবাটিন ১০ এর খাওয়ার নিয়ম, সেবনমাত্রা ও সেবনবিধি সম্পর্কে। ইবাটিন খাওয়ার নিয়ম বা সেবনমাত্রা ও সেবনবিধি নিম্নরূপ - 

  • প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঃ ইবটিন 1-2 টি (10-20mg) ট্যাবলেট দিনে ১ বার সেব্য।
  • ৬ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য ঃ ইবাটিন 5 mg ট্যাবলেট দিনে একবার সেব্য। (চুষে খাওয়ার জন্য)।
  • ৬ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের জন্য ঃ ইবাটিন 5ml সিরাপ দিনে এক বার সেব্য।

Ebatin | ইবাটিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনাম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো ইবাটিন  খাওয়ার পরে যে সকল সাইড ইফেক্ট হতে পারে সে সম্পর্কে। এই ঔষধটি খেলে যেসকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে সেগুলো নিম্নরূপ - 

  • তন্দ্রা ভাব হতে পারে।
  • ড্রাই মাউথ হতে পারে,
  • মাথা ব্যথা হতে পারে।
  • ক্লান্তি বা অবসাদ বোধ হতে পরে। 

Ebatin | ইবাটিন গর্ভাবস্থায় ও স্তনদানকারী মাদের জন্য নিরাপদ কি না

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও দাম শিরোনাম আলোচনায় এখন আমরা জানবো বিবাটিন গর্ভাবস্থায় বা স্তনদানকারী মাদের জন্য নিরাপদ কি না সে সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় এই ঔষধটি নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। ঠিক একইভাবে এই ঔষধটি স্তনদান কালে মাতৃদুগ্ধের সঙ্গে নিঃসৃত হয় কিনা সে সম্পর্কেও যথেষ্ট তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। এই ওষুধের সঠিক কোন প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হয়নি। বলা যেতে পারে গর্ভাবস্থায় ও স্তনদানকারী মা'দের জন্য ঔষধটি নিরাপদ নয় বরং না খাওয়াই ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।

আরো পড়ুন ঃ ওলোনেক্স কিসের ওষুধের কাজ ও খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।

Ebatin | ইবাটিন খাওয়ার সতর্কতা

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনামে এখন আমরা আলোচনা করবো। ইবাটিন খাওয়ার সময় কি কি সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এই ট্যাবলেট খাওয়ার সময় নিম্নোক্ত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করা উচিত।

  • এই ঔষধটির প্রতি যারা অতি সংবেদনশীল তাদের সতর্কতার সহিত খাওয়া উচিত। 
  • হার্টের রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাবধানতার সহিত খাওয়া উচিত।
  • গর্ভবতী মাদের অতীব প্রয়োজন না হলে ঔষধটি খাওয়া উচিত নয়।
  • স্তনদানকারী মাদের ঔষধটি অতীব জরুরী না হলে খাওয়া উচিত নয়।
  • জিয়ারটিক বা অতিবয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে খাওয়া উচিত।

Ebatin | ইবাটিন এর দাম বা মূল্য কত

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনামে এখন আমরা জানবো ইবাটিনের মূল্য  বা দাম সম্পর্কে। এইটি একটি ঔষধের নাম, এই ঔষধটি ৪টি ডোজেজ ফর্মে দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। ৪টি ডোজেজ ফর্মের আলাদা আলাদা দাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • ইবাটিন প্রতিটি ট্যাবলেটের ১০ টাকা,
  • ইবাটিন ফাস্ট প্রতিটি ট্যাবলেটের ১২ টাকা,
  • ইবাটিন 30 ml সিরাপ, প্রতি ফাইলের দাম ৬০ টাকা, (5mg / 5ml),
  • ইবাটিন 50ml সিরাপ, প্রতি ফাইলের দাম ৮৫ টাকা, (5mg / 5ml).

Ebatin | ইবাটিন কোথায় পাওয়া যায়

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনাম আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করবো ইবাটিন ঔষধ কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। যেহেতু এটি একটি ঔষধ সেজন্য সরকার অনুমোদিত সকল ঔষধের দোকানেই এটি পাওয়া যায়। সরকার অনুমোদিত ঔষধের দোকানে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আপনি এই ঔষধটি কিনতে পারবেন।

Ebatin | ইবাটিন এর বিকল্প ব্রান্ড

Ebatin | ইবাটিন এর কাজ খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শিরোনামে এখন আমরা জানবো ইনাটিনের বিকল্প ব্রান্ড সম্পর্কে। ইবাটিনের বিকল্প ব্যান্ড অর্থাৎ আর কোন কোন কোম্পানি কি কি নামে এটি মার্কেটিং করে থাকে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। 

বিকল্প ব্রান্ডের নাম - কোম্পানির নাম 

  • ইবাট্রোল - Ebatrol -  Delta Pharmaceuticals,
  • ইস্টিবা -Stiba- SK+F Bangladesh Ltd.
  • টিবাস্ট - Tbast - Square Pharmaceuticals,
  • ইবারিল - Ebaril - Incepta Pharmaceuticals.
  • রিনিজ - Rinis - Drug International.
  • ইবামিন - Ebamine -  IBN Sina Pharmaceuticals. etc.

বিঃ দ্রঃ তথ্য সূত্র ইনসার্ট লিটারেচার এবং DIMS. উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো ঔষধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞানের জন্য লেখা, যা কোন অবস্থাতেই ডাক্তারি পরামর্শের বিকল্প নয়। ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

উপসংহার

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ইবাটিন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। Ebatin সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন বলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধটি খাওয়া উচিত হবে না। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন।

আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে ও উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের ভালোলাগাটা অন্যের মাঝে শেয়ার করে দিতে ভুলবেন না প্লিস। এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খেলে তন্দ্রাভাব হতে পারে। তন্দ্রাভাব হলে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এড়িয়ে চলুন। সবার এলার্জি মুক্ত সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url