১৫১০+ এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন
এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। মূল অর্থ প্রকাশ করার জন্য বাংলা ভাষায় অনেক শব্দ ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেকগুলো শব্দ একসাথে এক বাক্যে প্রকাশ করলে বাক্য বড় হয়ে যায় এবং অনেক সময় বাক্যের শ্রুতিমধুরতা নষ্ট হয়। সেজন্য অনেকগুলো শব্দের মূল অর্থ ঠিক রেখে ভাবার্থকে এক কথায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
বলা যায় বাংলা ভাষাকে আরো শ্রুতিমধুর করার জন্যই এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন বা সংক্ষেপ শব্দ ব্যবহার করা হয়। আজকে আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ বা বাক্যের মূল অর্থ ঠিক রেখে সংক্ষিপ্তরূপ। চলুন দেখে নেওয়া যাক এক কথায় প্রকাশ গুলো।
এক কথায় প্রকাশ কাকে বলে?
এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন হলো বাক্যে ব্যবহৃত অনেকগুলো শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ যা বাক্যের মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে বাক্যের শ্রুতিমধুরতা বাড়ায়। বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশে কোন অবস্থাতেই বাক্যের মূল অর্থের পরিবর্তিন ঘটে না।
পেজ সুচিপত্র
অ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ।
- অনেকের মধ্যে একজন = অন্যতম।
- অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর।
- অর্শের ডাক = হেষা।
- অক্ষির সমীপে = সমক্ষ।
- অপকার করার ইচ্ছা = অপচিকীষা।
- অপকার করার ইচ্ছা = অপচিকীরষা।
- অল্প কথা বলে যে = মিতভাষী।
- অহংকার নেই যার = নিরহংকার।
- অকালে পেকেছে যা = অকালপক্ক।
- অকর্মণ্য কবাদী পশু রাখার স্থান = পিঁজরাপোল।
- অকালে উৎপন্ন কুমড়া = অকালকুমামন্ডল।
- অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা = প্রত্যুগমন।
- অকালে উৎপন্ন = আকালিক / অকালজাত।
- অক্ষির অগোচরে = পরোক্ষ।
- অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী।
- অগ্রে জন্মে সেছে = অগ্রজ।
- অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যাকালীন ব্রত = সেঁজুতি।
- অগভীর সতর্ক নিদ্রা= অগভীর নিদ্রা বা কাকনিদ্রা।
- অণুর ভাব = অণিমা।
- অণুকে দেখা যায় যার দ্বারা = অণুবীক্ষণ।
- অতি উজ্জ্বল ও ফর্সা নারী = মহাশ্বেতা।
- অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে যে কাজ করে = অভিমৃষ্যকারী।
- অবশ্য হবে যা = অবসম্ভাবী।
- অব্যক্ত মধুর ধনী বা সুর = কলতান।
- অপরের ধন = পরস্ব।
আ দিয়ে একথায় পকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- আকাশ ও পাতাল = ক্রন্দসী
- আকাশ ও পৃথিবীর অন্তরাল = রোদসী
- আকাশে উড়ে যে = খেচর / খচর।
- আঘাত পায়নি যা = অনাহত।
- আকৃষ্ট হচ্ছে যে = কৃষ্যমান।
- আকাশে গমন করে যে = বিয়োগ / বিহঙ্গ।
- আচারে নিষ্ঠা আছে যার = আচারনিষ্ঠ / আচারনিষ্ঠা।
- আজন্ম শত্রু = জাত শত্রু।
- আমার তুল্য বা সদৃশ = মাদৃশ।
- আদি নেই যার = অনাদি।
- আদব কায়দা জানে না যে = বেয়াদব।
- আনন্দ দান করে যে নারী = বিনোদিনী।
- আপনার বর্ণ বা রং লুকায় যে = বর্ণচোরা।
- আয় অনুসারে ব্যয় করেন না যিনি = অমিতব্য়ী।
- আরোগ্য হওয়া কঠিন এমন = দুরারোগ্য।
- আলাপ করতে তৎপর = আলাপি।
- আয় অনুসারে ব্যয় করেন যিনি = মিতব্যয়ী।
ই দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ইতিহাস রচনা করেন যিনি = ঐতিহাসিক।
- ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি = ইতিহাসবেত্তা।
- ইচ্ছামত কাজ বা আচরণ করে যে = স্বেচ্ছাচারী।
- ইচ্ছার অনুরূপ বা অধীন = ঐচ্ছিক।
- ইন্দ্রজাল বিদ্যায় পারদর্শী ঐন্দ্রজালিক।
- ইরাবতে জাত = ঐরাবত।
- ইহার তুল্য = ইদৃশ।
- ইহার সদৃশ = ইদৃশ।
- ইতিহাস লেখেন যিনি = ঐতিহাসিক।
- ঈষৎ পাংশে বর্ণ = ধূসর।
ঈ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য এক কথায় প্রকাশ
- ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার = আঁষটে।
- ঈশ্বর বিষয়ক = ঐশ্বরিক।
- ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার = আস্তিক।
- ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার = নাস্তিক।
- ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল সাধক গায়ক = বাউল।
- ঈষৎ চেষ্টা নেই যার = নিরীহ।
- ঈসৎ হাস্যযুক্তা = সুস্মিতা।
- ঈষৎ রক্তবর্ণ = আরক্ত।
- ঈষৎ পাগলামি যার = পাগলাটে।
- ঈষৎ নীল বর্ণ = নিলাভ।
উ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার = প্রত্যুৎপন্নমতি।
- উপকারীর অপকার করে যে = কৃতঘ্ন।
- উদক বা জলপানের ইচ্ছা = উপন্যাস।
- উটের বা হস্তীর সাবক = করভ।
- উচিত নয় যা = অনুচিত।
- উপকার মনে রাখে যে = কৃতজ্ঞ।
- উভয় তীর আছে যার = পারাবত।
- উভয় হাত সমান চলে যায় = সব্যসাচী।
- উপকারীর উপকার শিকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ।
- উদিত হচ্ছে যা = উদীয়মান।
- উচিত নয় যা = অনুচিত।
- উদিত হয়নি যা = অনূদিত।
ঊ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ঊর্ধ্ব থেকে নিম্নে গমন = অবতরণ।
- উরুর হাড় = উর্বস্থি।
- ঊর দিয়ে যায় যে = ঊরগ।
- ঊর্ধ্বে অবস্থিত = উর্ধ্ব।
ঋ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
- ঋণ গ্রহণ করে যে = অধমর্ণ।
- ঋণগ্রস্ত অবস্থা = ঋণিতা।
- ঋতুর সম্বন্ধে = আর্তব।
- ঋণের দলিল = তমসুক।
- ঋষির ন্যায় = ঋষিকল্প।
- ঋত্বিকের বৃত্তি = যাজন।
- ঋণ নেই যার = অঋণী।
- ঋষির তুল্য = ঋষিতুল্য।
এ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- একের সঙ্গে অন্যের = পরস্পর।
- একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ।
- একই সময়ে বর্তমান = সমসাময়িক।
- একই গুরুর শিষ্য = সতীর্থ।
- একই স্বামীর প্রতি যারা = সতীন
- এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত = একাধিক্রমে।
- এক দেশ থেকে আর এক দেশ = দেশান্তর।
- এক গোঁ যার = একগুঁয়ে।
- একবার কল দিয়ে মরে যায় যে গাছ = ঔষধি গাছ।
- একের পরিবর্তে আরেক = বিকল্প।
- একই বিষয়ে চিত্তনিবেশ যার = একাগ্রচিত্তে।
- এক যুগের পর আরেক যুগ = যুগান্তর।
- একের ভাষা অপরকে বুঝিয়ে দেয় যে = দোভাষী।
ঐ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ঐতিহাসিক কালেরও আগে = প্রাগৈতিহাসিক।
- ঐক্যের অভাব = অনৈক্য।
- ঐশ্বর্যের অধিকারী যে = ঐশ্বর্যবান।
ও দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ওষ্ঠ ও অধর = উষ্ঠাধর।
- ওজন করা হয় যে যন্ত্রের সাহায্যে = তুলাদন্ড।
ঔ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য = অনুপান।
- ঔষধের বিপণী = ঔষধালয়।
- ঔষধি থেকে উৎপন্ন = ঔষধি।
- ঔষধি থেকে জাত = ঔষধ।
ক দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- কোকিলের ডাক = কুহু।
- কোথাও উঁচু কোথাও নিচু = বন্ধুর।
- কোথাও নত কোথাও উন্নত = বন্ধুর।
- কোন কিছুতে ভয় নেই যার = অকুতোভয়।
- কর্কশ ধ্বনি = ক্রেস্কার।
- কি কর্তব্য তা বুঝতে পারে না যে = কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
- কষ্টে লাভ করা হয় যা = দুর্লভ।
- কন্ঠ পর্যন্ত = আকণ্ঠ।
- কুলের কীর্তিতে কলঙ্ক লেপন করে রে = কুলাঙ্গার।
- কুলে বিশিষ্ট মর্যাদা আনয়ন করে রে = কুলাতিলক।
- কুলের সমীপে = উপকূল।
- কাজে প্রথম ব্রতী হওয়া = হাতেখড়ি।
- কুলে কলংক লেপন করে যে = কুল কলঙ্ক।
- কখনো নষ্ট হয় না যা = অবিনশ্বর।
- কেউ জানতে না পারে এইরূপ ভাবে = অজ্ঞাতসারে।
- কেউ যা জানে না = অজ্ঞাত / অজানা
- কুলের কীর্তি বর্ধনকারে যে সন্তান = কুলপ্রদীপ।
- কাম ক্রোধ লোভাদির বংশীভূত = অজিতেন্দ্রিয়।
খ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- খাইবার ইচ্ছা = ক্ষুধা।
- খাবার যোগ্য = খাদ্য।
- খ্যাতি আছে যার = খ্যাতিমান।
- খরচের হিসাব নেই যার = বেহিসাবে।
- খাদ নেই যাতে = নিখাদ।
- খেলায় যে পটু = খেলোয়াড়।
- খেয়া পার করে যে = পাটনি।
- খেলায় দক্ষ যিনি = খেলোয়াড়।
- খাওয়ার জন্য যে খরচ = খাইখরচ।
- খেদ আছে এমন = খিদ্যমান।
- খাওয়া হয়নি যার = অভুক্ত।
- খাদ নেই যাতে = নিখাদ
- খাবার যোগ্য = খাদ্য।
- খ্যাতি আছে যার = খ্যাতিমান।
- খেলায় দক্ষ যিনি = খেলোয়াড়।
- খাওয়ার ইচ্ছা = ক্ষুধা।
- খুন করে যে = খুনি।
- খরচের হিসাব নেই যার = বেহিসাবী।
- খেয়া পার করে যে = পাটনি।
- খেয়া পারের পয়সা = পারানি
- খেয়া পারের পয়সা = পারানি।
গ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- গোপন করার ইচ্ছা = জুগুপসা।
- গাছে থেকে পড়া = গাছ পড়া।
- গাছে পাকা = গাছপাকা।
- গভীর রাত্রি = নিশীথ।
- গরু চরায় যে = রাখাল।
- গাধার ডাক = রাসভ।
- দাড়ি-গোঁফ গজায় নাই যার = অজাতশমত্রু
ঘ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ঘরে পালিত যে জামাই = ঘরজামাই।
- ঘর্ষণ বা পেষনজাত গন্ধ = পরিমল।
- ঘটা করে আরম্ভ = বহ্লারস্থ।
- ঘ্রাণের যোগ্য = ঘ্রেয়।
- ঘৃণার যোগ্য = ঘৃণ্য।
- ঘোড়ার ডাক = হ্রেষা।
- ঘুরানো হচ্ছে যাকে = ঘূর্ণমান।
- ঘুমের ঘোরে শিশুর হাঁসি ও কান্না = দেয়ালা।
- ঘর বা বাসস্থান নেই যার = অনিকেতন / গৃহহীন / হাঘরে।
চ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথা প্রকাশ
- চাঁদের আলো = চন্দ্রালোক।
- চলছে এমন ছবি = চলচ্চিত্র।
- চক্ষু সম্মুখে সংঘটিত = চাক্ষুষ।
- চক্ষু ফেরানো যায় না যার দিক থেকে = অসেচনক।
- চাঁদের মত সুন্দর মুক = চাঁদ মুখ।
- চোখে যায় লজ্জা নেই = চশমখোব।
- চিরকালীন যা = চিরস্থায়ী।
- চুষে খাওয়া যায় যা = চোষ্য।
- চার রঙের মিশ্রণ = চৌরঙ্গী।
- চোখের সামনে = প্রত্যক্ষ।
- চোখের মনি = কনীনিকা ও কি তারা
ছ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ।
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ছেলে ধরে যে = ছেলে ধরা।
- ছোট ছোট গাছ = গাছড়া।
- ছোট প্রস্তরখন্ড = নুড়ি।
- ছোট্ট নদী = সারণি।
- ছোট ঢাক বা ঢাকা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র = নাকাড়ানা।
- করা ছোট গ্রাম = পল্লীগ্রাম।
- ছোট ফোঁড়া = ফোঁস কুড়ি।
জ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- জানা উচিত = জ্ঞেয় / জ্ঞাতব্য।
- জয় করার ইচ্ছা = জিগীষা।
- জানার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা।
ঝ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ।
মূল বাক্য =এক কথায় প্রকাশ
- ঝগড়া করা স্বভাব যা = ঝগড়াটে।
- ঝুলছে যা = ঝুলন্ত।
- ঝড়ের প্রচন্ড ধাক্কা = ঝপটা।
- ঝিনুকের গর্ভজাত রত্ন = মুক্তা।
- ঝন ঝন শব্দ = ঝংকার।
- ঝলকে ঝলকে উজ্জ্বলতা প্রকাশ পায় যার = ঝলমলে।
ট দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য= এক কথায় প্রকাশ
- টোল পড়েনি এমন = নিটোল।
- টাইমের বাইরে = বেটাইম।
- টাকা ধার দেয়ার কাজ = মহাজনী।
- টপটপ করে পড়ে যা = টপটপে।
ঠ দিয়ে এপ্রকাশ প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ঠিকরে পড়ে যা = ঠিকরানো।
- ঠকায় যে = ঠক।
- ঠিক নয় যা = বেঠিক।
- ঠাণ্ডা ও গরম = নাতিশীতোষ্ণ।
- ঠান্ডায় পীড়িত = শীতার্ত।
- ঠেঙিয়ে ডাকাতি করে যারা = ঠ্যাঙাড়ে।
ড দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ডালিমের কুঁড়ি = আনারকলি।
- ডুবিবার উপক্রম হয়েছে এমন = ডুবুডুবু।
- ডিঙ্গি বাইবার দাড় = বৈঠা।
- ডাকঘরের চিঠি বিলি করে যে = ডাকপিয়ন।
- ডাকের জন্য নির্ধারিত মাশুল = ডাকমাশুল।
- ডালের আগা = মগডাল।
- ডিম্বাশয়ের প্রাণ কোষ = ডিম্বানু।
- ডাক বহন করে যে = ডাকহরকরা।
ঢ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ।
- ঢেউয়ের ধনী = কল্লোল।
- ঢাকায় প্রস্তুত = ঢাকাই।
ত দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- তুলার তৈরি = তুলোট।
- তল স্পর্শ করা যায় না যার = অতলস্পর্শী।
- তিন তারের সমাহার = সেতারা।
- তিন মোহনার মিলন যেখানে = সেতারা।
- তন্তু হতে জাত = তনুজ।
- তনুর ভাব = তনিমা।
- তোপের ধ্বনি = গুড়ুম।
- তাল ঠিক নেই যার = বেতাল।
- তীর ছুঁড়ে যে = তীরন্দাজ।
- তিন তারের সমাহার = সেতারা।
- ত্বরায় গমন করে যে = তুরঙ্গম বা তুরাগ।
থ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি = থমক।
- থামের মত লম্বা = থাম্বা।
- থাবার আঘাত = থাপ্পড়।
দ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- দুবার জন্মে যে = দ্বিজ।
- দেখার ইচ্ছে = দিদৃক্ষা।
- দিনে একবার আহার করে যে = একাহারি।
- দুধ থেকে জাত = দুগ্ধজাত।
- দিবসের প্রথম ভাগ = পূবাহৃ।
- দার পরিগ্রহ করেননি যিনি = অকৃতদার।
- দমন করা যায় না এমন = অদম্য।
- দেখতে সুন্দর এমন = সুশ্রী / সুদর্শন।
- দুই দিক বা চারদিক জল যার = দ্বীপ।
- দুইয়ের মধ্যে একটি = অন্যতম।
- দুটি মাত্র দাঁত যার = দ্বিরদ (হাতি)।
- দূরে দেখে না যে = অদূরদর্শী
- দাম বা দড়ি যার উদরে = দামোদর।
ধ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ধনুকের ছিলা = জগ।
- ধার আছে যার = ধারালো।
- ধন নেই যার = নির্ধন।
- ধনুকের শব্দ = টংকার।
- ধব বা স্বামী মারা গেছে যার = বিধবা।
- ধন জয় করেছে যে = ধনঞ্জয়।
- ধনুকের ধ্বনি = টুংকার।
- ধন আছে যার = ধনী।
ন দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- নুপুরের ধ্বনি = নিক্কণ।
- নুপুরের শব্দ = নিক্কণ।
- নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত = আত্মনিষ্ঠ।
- নৌকা চালায় যে জীবিকা নির্বাহ করে = নাবিক।
- নৌকা চালায় যে = মাঝি।
- নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে = নাবিক।
- নিশিকালে চরে যে= নিশাচর।
- রাত্রি কালে তোরে যে = নিশাচর।
- নীল বর্ণ পদ্ম = ইন্দিবর।
প দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- পাখির ডাক = কূজন।
- প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবিক্ষা।
- প্রকিষ্ঠ গতি = প্রখর।
- প্রিয় কথা বলেন যিনি = প্রিয়ংবদা।
- পা ধোয়ার পানি = পাদ্য।
- প্রিয় বাক্য বলে যে = প্রিয়ভাষী।
- পূর্বে যার স্বাদ গ্রহণ করা হয়নি = অনাস্বাদিত।
- পিতার ভাই = পিতৃব্য।
- পদ্মের ঝাড় বা মৃনালসমূহ = মৃণালিনী।
- পাচ সেরের সমাহার = প্রসূরী।
- পরলোক সম্বন্ধীয় = পরলৌকিক।
- পরের উন্নতি দেখে যে কাতর = পরশ্রীকাতর।
- পান করার ইচ্ছা = পিপাসা।
- পংকে জন্মে যে = পঙ্কজ।
- পঁচিশ বছর পূর্তি উৎসব = রজত জয়ন্তী।
- পথের রাজা = প্রার্থীব।
- পাওয়ার ইচ্ছা ঈপ্সা।
- পান করার যোগ্য = পেয়।
- পদ্মের ডাটা বা নাল = মৃণাল।
- পান করার অযোগ্য = অপেয়।
- পানি পান করতে ইচ্ছুক = পিপাসু।
- পরের অধীন = পরাধীন।
- পরে জন্মগ্রহণ করেছে যে = অনুজ।
ফ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ফুলের কড়ি = উৎকলিকা।
- ফুটছে যা = ফুটন্ত
- ফুরায় না যা = অফুরান।
- ফিকে কমলা রং = বাসন্তী।
- ফসল জন্মায় না যে জমিতে = ঊষর।
- ফুল হতে জাত = ফুলেল।
- ফল প্রসব করে যা = ফলপ্রসূ।
- ফল পাকলে যে গাছ মারা যায় = ঔষধি।
- ফাঁস দিয়ে যে মানুষ মরে = ফাসুড়ে।
ব দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
- বিড়ালের ডাক = মিউমিউ।
- বেঁচে থাকার ইচ্ছা = জিজীবিষা।
- বলার ইচ্ছা = বিবক্ষা।
- বিদ্যা আছে যার = বিদ্বান।
- বীণার ঝংকার = নিক্সন।
- বাঘের ডাক = অহংকার / হালুম গর্জন।
- বরণ করার যোগ্য = বরণীয় / বরেণ্য।
- বাঘের চামড়া = কৃত্তি।
ভ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
মূল বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ভাতের অভাব = হাঘাতে।
- ভ্রমণের গান বা শব্দ = গুঞ্জন।
- ভাবা যায় না এমন = অভাবনীয়।
- ভাতের অভাব যার হাঘাতে।
- ভোজন করার ইচ্ছা = বভুক্ষা
- ভোজন করতে ইচ্ছুক = বহুক্ষু।
- ভোরের গান বা প্রভাতী গান = ভোরাই।
- ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ।
- ভবিষ্যতে যা ঘটবে = ভবিতব্য।
- ভাঙ্গে যা = ভঙ্গুর।
ম দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- মনের ইচ্ছা = শখ।
- মহান যে নারী = মহীয়সী।
- মেঘের ধ্বনি = জীমূতমন্ত্র।
- মোরগের ডাক = কোককুরুৎ।
- ময়ূরের ডাক = কেকা।
- মেধা আছে = মেধাবী।
- মেনে চলার যোগ্য = আদর্শ।
- মুসলমানদের পাঠশালা = মক্তব।
- মুক্তি পেতে ইচ্ছুক = মুমুক্ষু।
- মেঘের ধ্বনি = জীমূতনাদ।
- মুক্তি কামনা করে যে = মুক্তিকামি।
- মুছে ফেলা যায় না যা = দূরমোচ্য।
- মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি = মৃন্ময়।
- মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে= ভাগাড়।
- মিলনের ইচ্ছায় নির্দিষ্ট স্থানে গমন = অভিসার।
- মিষ্টি কথা বলে যে = মিষটভাষী।
- মাথা নত করে অভিবাদন করা = কুর্নিশ।
- মাটির তৈরি শিল্পকর্ম = মৃৎশিল্প।
- মর্ম কে পীড়া দেয় যা = মর্মান্তদ।
- মর্মকে স্পর্শ।করে যে = মর্মস্পর্শী।
- মন্দ লোক = কুজন।
- মহান যে নারী = মহীয়সী।
- মমতা নেই যার= নির্মম।
য দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- যা পূর্বে শোনা যায়নি = অশ্রুতপূর্ব।
- যার মৃত্যু নেই = অমর।
- যে সব কিছু খায় = সর্বভুক।
- যা চিরস্থায়ী নয় = নশ্বর।
- যা অতি দীর্ঘ নয় = নাতি দীর্ঘ।
- যা পূর্বে দেখা যায়নি = অদৃষ্টপূর্ব।
- যে নারীর হাসি সুন্দর = সুস্মিতা।
- যে নারীর চোখ সুন্দর ≠ সূচয়না।
- যা কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ।
- যা দীপ্তি পাচ্ছে = দেদীপ্যমান।
- যা হবেই = অবশ্যই।
- যে অধিক ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করে= ব্যয়কুন্ঠ।
- যা পূর্বে ঘটেনি = অভূতপূর্ব।
- যা বলা হয়নি = অনুক্ত।
- যা সহজে পাওয়া যায় না = দুর্লভ বা দুষ্প্রাপ্য।
- যার মৃত্যু নেই = অমর।
- যার কোন কিছু চাওয়ার নেই = অকিঞ্চন।
- যার কোন কিছুতে ভয় নেই = অকুতোভয়।
- যে যাত্রায় কেউ গমন করলে আর ফেরেনা = অগস্ত্যযাত্রা।
- যা চিন্তা করা যায় না = অচিন্তনীয় / অচিন্ত্য।
- যে ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করে = কৃপণ
- যারা দাড়ি জন্মায় নি = অজাতশমশু অজাতোশমত্রু।
- যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না = অজ্ঞাতকুলশীল।
র দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- রস আছে যাতে = রসালো।
- রন্ধনের যোগ্য = প্রাচ্য।
- রোদে সুখানো আম = আমসি।
- রুপার মতো = রূপালী।
- রোগনাশক গাছগাছড়া = ভেষজ।
- রাত্রির তিনভাগে একত্রে = ত্রিযামা।
- রাত্রির মধ্যভাগ = মহানিশা।
- রুপার মতো = রুপালি।
- রক্ত বর্ণ পদ্ম = কোকনদ।
- রেশন দিয়ে নির্মিত = রেশমি।
- রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে যে = হাতুড়ে।
- রাত্রির শেষ ভাগ = পররাত্র।
- রাত্রির প্রথম ভাগ = পূর্বরাত্র।
ল দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা / লোভ।
- লবণ কম দেওয়া হয়েছে এমন = আলুনি।
- লোকজনের বসতি রয়েছে এমন জায়গা = জনপদ।
- লাফিয়ে চলে যে = প্লবগ।
- লোলুপ দৃষ্টি যার = লোভী।
- লোভ আছে যার = লোভী।
শ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- শুভ ক্ষণে জন্ম যার = ক্ষণজন্মা।
- শক্তি আছে যার = শক্তিধর।
- শোনার ইচ্ছা = শশ্রূষা।
- শিক্ষাদান করেন যিনি = শিক্ষক।
- শিক্ষা করছে যে = শিক্ষানবিশ।
- শাস্তি পাওয়ার যোগ্য = দণ্ডনীয়।
- শিশু সন্তানসহ বিধবা যে নারী = বালপুত্রিকা।
- শত্রুকে বা অরীকে দমন করে যে = অরিন্দম।
- শোনা মাত্র যার মুখস্থ হয় = শ্রুতিধর।
- শুকনো পাতার শব্দ = মর্মর।
- শ্বেত বর্ণ পদ্ম = পুন্ডরিক।
ষ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ষাঁড়ের চেহারা তুল্য = ষন্ডামার্কা।
- ষাট বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = হীরক জয়ন্তী।
স দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- সেবা করার ইচ্ছা = শুশ্রূষা।
- সমুদ্রের ঢেউ = উর্মি।
- সাপের খোলস = নির্মোক।
- সিংহের ডাক = হুংকার।
- সাদরে গ্রহণ = বরণ।
- সহজে অতিক্রম করা যায় না যা = দুরতিক্রমনীয় / দুরতিক্রম্য।
- সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা = প্রত্যুৎগমন।
- সমুদ্র তীরে বালুময় স্থান = বেলাভূমি।
- সমুদ্রের ঢেউ = উর্মি।
- সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ = কল্লোল।
- সর্বত্র গমন করে যে = সর্বগ।
- সর্বস্ব হারিয়ে গেছে যার = সর্বহারা / হৃতসর্বস্ব।
হ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- হনন করার ইচ্ছা = জিঘাংসা।
- হাতির বাসস্থান = গজগৃহ।
- হাতির শাবক = করভ।
- হরিণের চামড়া = অজিন
- হাতির ডাক = বৃংহন বৃন্ত।
- হিংসা করে যে = হিংসুক।
- হেমন্ত কালে উৎপন্ন ফসল = হৈমন্তীক।
- হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত = পাণি।
- হাতের কুনই থেকে কবজি পর্যন্ত অংশ = প্রকোষ্ঠ।
- হাতের চতুর্থ আঙ্গুল = অনামিকা।
- হাতের তৃতীয় আঙ্গুল = মধ্যমা।
- হাতে দ্বিতীয় আঙ্গুল = তর্জনী।
- হাতের পঞ্চম আঙ্গুল = কনিষ্ঠা।
- হাতে প্রথম আঙ্গুল (বুড়ো আঙ্গুল) = আঙ্গুষ্ঠ।
- হিত কামনা করে যে = হিতৈষী।
- হাতের তালু = করতল।
ড় দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
ঢ় দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
য় দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
ক্ষ দিয়ে এক কথায় প্রকাশ
পূর্ণ বাক্য = এক কথায় প্রকাশ
- ক্ষমার যোগ্য = ক্ষমাহ্।
- ক্ষমা করার ইচ্ছা = তিতিক্ষা / তিক্ষমিষা।
- ক্ষুদ্রকায় ঘোড়া = টাটু / টাটটু।
- ক্ষুদ্র হাঁস = পাতিহাঁস।
- ক্ষুদ্র লেবু = পাত্তি লেবু।
- ক্ষুদ্র বা নিচু কাঠের আসন = পিঁড়ি।
- ক্ষুদ্র নালা = নালিকা।
- ক্ষুদ্র অঙ্গ = উপাঙ্গ।
- ক্ষুদ্র কূপ = পাতকুয়া।
- ক্ষুদ্র মৃতপাত্র = ভাঁড়া।
- ক্ষুদ্র নাটক = নাটিকা।
- ক্ষনকালের জন্য স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী।
- ক্ষমা করার ইচ্ছা = তিতিক্ষা / চিক্ষমিষা।
- ক্ষুদ্র জাতীয় বক = বলাক।
- ক্ষুদ্র জাতীয় বকের শ্রেণী = বলাকা।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url