২১০+ গ্রাম বাংলার প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি
২১০+ গ্রাম বাংলার প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি সত্যি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন বহুল ব্যবহৃত ও বাস্তব জীবনে মিল আছে এমন প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি সম্পর্কে। যেগুলো আপনারা জেনে অথবা না জেনেই মনের অজান্তে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করে থাকেন।
গ্রাম বাংলার এই প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি গুলো এতটাই বাস্তবসম্মত যে শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব শ্রেণীর লোকেরাই বাস্তবতার নিরিখে এই প্রবাদ প্রবচন গুলো ব্যবহার করে থাকেন। যেগুলো দ্বারা খুব সংক্ষেপে এবং সহজে কোন কিছু সম্পর্কে বোঝানো যায়। চলুন জেনে নেযা যাক এ ধরনের প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি গুলো।
পেজ সুচিপত্র
প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি
প্রত্যেকটি ভাষার জন্য প্রবাদ প্রবচন অমূল্য সম্পদ। হাজার বছরের পুরনো বাঙালি সংস্কৃতি তথা সামগ্রিক জীবনাচরণের প্রবাদ প্রবচন সমৃদ্ধ একটি ধারা হিসেবে প্রচলিত হয়ে আছে। বাংলা সাহিত্যে প্রবাদ প্রবচন ও উক্তির মাধ্যমে ধর্ম, বিশ্বাস, আচার-ব্যবহার, জীবন, সংস্কৃতি ও রসবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। যেগুলো গ্রাম বাংলার লোক-সাহিত্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি কমানোর ১৫ টি উপায়।
প্রবাদ কাকে বলে
গ্রাম বাংলার প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার প্রবাদ, প্রবচন ও উক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে। "মানব সমাজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ জীবন সত্যের স্মারক কোন জনপ্রিয় বিদ্রূপাত্মক সংক্ষিপ্ত উক্তিকেই প্রবাদ বলে"।
আরও পড়ুন ঃ পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানোর সহজ ২০ টি উপায়।
প্রবচন কাকে বলে
প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি সম্পর্কিত আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব প্রবচন কাকে বলে সে সম্পর্কে। প্রবচন অর্থ হলো প্রকৃত বচন বা বাক্য। প্রবচন হলো জ্ঞানবান বা প্রজ্ঞাবান, মননশীল বা সৃজনশীল ব্যক্তির অভিজ্ঞতাপ্রসূত ব্যক্তিগত সৃষ্টি। কবি, সাহিত্যিক বা প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিবর্গ এর উদ্ভাবক বা রচয়িতা।
আরও পড়ুন ঃ বিয়ের গিফট আইডিয়া ২০২৫।
উক্তি কাকে বলে
প্রবাদ প্রবচন ও উক্তি সম্পর্কিত আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে আমরা জেনে নিব উক্তি কাকে বলে সে সম্পর্কে। উক্তি অর্থ হলো কথা বা বাক্য। উক্তিগুলো সাধারণত বিজ্ঞ ব্যক্তি, বৈজ্ঞানিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কথা বা বাক্য যা সমাজে প্রচলিত। যেগুলো বাস্তবতার নিরিখে অভিজ্ঞতার আলোকে বলা হয়েছে। এই প্রবাদ, প্রবচন ও উক্তিগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। আর্টিকেলটি পড়ে জেনে নিন।
আরও পড়ুন ঃ জন্মদিনের গিফট আইডিয়া ২০২৫।
- অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী কথায় কথায় ডিকশনারি ঃ কম শিক্ষিত লোকজনের বিদ্যার বড়াই বেশি।
- জলদি কাম শয়তানি আস্তে কাম রহমানী ঃ তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম কিন্তু ধির-স্থির থেকে কাজ করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- হবু চন্দ্র রাজার গবু চন্দ্র মন্ত্রী ঃ রাজা দুর্বল হলে তার মন্ত্রীরাও কার্যকরী হয় না।
- যদি হয় সুজন তেতুল পাতায় নজন ঃ মিলেমিশে কাজ করলে অসম্ভবকে সম্ভব করে সফলতা আনা সহজ।
- কলা রুয়ে না কেটো পাত তাতেই কাপড় তাতেই ভাত ঃ ফসল করে ফসলের যত্ন নিলে সেই ফসল থেকেই সচ্ছলতা আসে।
- চকচক করলেই সোনা হয় না ঃ বাহ্যিক দিক দেখে কোন কিছু বিচার করা যায় না।
- মৌচাকে ঢিল মারা ঃ নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা।
- ধরি মাছ না ছুঁই পানি ঃ কৌশলে কার্যসিদ্ধি।
- যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়াপড়শির ঘুম নাই ঃ অল্পতেই নিজেকে বেশি উৎসাহিত করা।
- আপনি মানে না গ্রামে মোড়ল ঃ কেউ না মানলেও নিজে নিজে মাতব্বরি করা।
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা ঃ নিজের কাজ কৌশলে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া।
- চাচা আপন জ্ঞান বাঁচা ঃ বিপদে পড়লে কেটে পড়া।
- পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে একসাথে ঃ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করা।
- কই মাছের প্রাণ ঃ সহজে মরে না এমন।
- চোখে সরষে ফুল দেখা ঃ বিপদে পড়ে দিশেহারা হওয়া।
- পুটি মাছের প্রাণ ঃ যা সহজেই মরে যায় এমন।
- এক হাত কাঁকড়ের বার হাত বিচি ঃ কাজের চেয়ে গল্প বেশি।
- লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন ঃ ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করনের প্রয়াস।
- ধর্মের কল বাতাসে নড়ে ঃ সত্য ঘটনা গোপন থাকে না।
- বিড়ালের ভাগ্যে ছিকা ছেঁড়া ঃ পরিশ্রম না করেই ভাগ্যক্রমে কাঙ্খিত জিনিস পাওয়া।
- পান্তা ভাতে ঘি নষ্ট বাপের বাড়ি ঝি নষ্ট ঃ ঘি যেমন পান্তা ভাতে খেতে ভালো লাগে না তেমনি বিয়ের পরে মেয়েদেরকে বেশিদিন বাপের বাড়ি রাখতে হয় না।
- সময়ের এক ফোঁড় অসময় দশ ফোঁড়া ঃ সময় মত কাজ করলে সহজেই হয়।
- ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলা ঃ প্রয়োজনে সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিসও কাজে লাগে।
- প্রদীপ বা বাতির নিচে অন্ধকার ঃ আসল জায়গাতেই গলদ বা ত্রুটি।
- যে দামে কেনা সেই দামে বিক্রি ঃ যে জিনিস এমনি এমনি পাওয়া যায় তার কদর থাকে না।
- দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো ঃ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে আদর করা।
- মাইরের উপর ঔষধ নাই ঃ সহজ ভাবে বলে কোন কাজ না হলে নিষ্ঠুর আচরণ প্রদর্শন করা।
- সুপাত্রে কন্যা দান ঃ ভালো জিনিসের কদর করা।
- অতি চালাকের গলায় দড়ি ঃ বেশি চালাকি ফল শুভ হয় না।
- কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ংকর ঃ আগুনে পোড়ার চেয়ে কটাক্ষ করে কথা শুনা বেশি কষ্টকর।
- ঝোঁপ বুজে কোপ মারা ঃ সুযোগ বুঝে কাজ উদ্ধার করে নেওয়া।
- অপাত্রে কন্যা দান ঃ কোন কিছুর লোভে অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে কদর করা।
- যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেতুল ঃ সমানে সমানে লড়াই।
- কত ধানে কত চাল ঃ কাউকে কোন বিষয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমন বাক্য ব্যবহার করা হয়।
- চুনে মুখ পুড়লে দই দেখে ভয় লাগে ঃ ব্যথা পেলে পুনরায় ব্যথা পাওয়ার ভয় থাকে।
- ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায় ঃ আগুনে পোড়া গরু পশ্চিম আকাশে লাল টকটকে মেঘ দেখলে মনে করে আবার আগুন লেগেছে অর্থাৎ ভয় পায়।
- তেলের মাথায় তেল দেওয়া ঃ যার আছে তাকে অপ্রয়োজনে আরো যোগান দেওয়া।
- মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ঃ হঠাৎ ভালো কিছু পাওয়া।
- অতি দর্পে লঙ্কা হত ঃ বেশি বাড়াবাড়ির ফল ভালো হয় না।
- খাস তালুকের প্রজাঃ অতি অনুগত ব্যক্তি।
- অহংকার পতনের মূল ঃ বেশি অহংকার করলে পরাজিত হতে হয়।
- জ্ঞানী লোকের কান বড় মূর্খ লোকের মুখ বড় ঃ জ্ঞানী লোক শুনে বেশি কথা বলে কম, মূর্খ লোক শুনে কম কথা বলে বেশি।
- উদর পিণ্ড বুদোর ঘাড়ে ঃ একজনের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো।
- ভূতের মুখে রাম নাম ঃ অধার্মিক লোকের মুখে ধর্মের কাহিনী।
- শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার ঃ অসৎ ব্যক্তির কাছে কোন কিছু জিম্মা রাখলে সেটি ঠিক থাকে না।
- কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালেই পাজি ঃ কাজের সময় সমাদর কাজ শেষ হলেই অনাদর।
- সাত নকলে আসল খাস্তা ঃ নকলে নকলে আসল বা মূল জিনিস হারিয়ে যাওয়া।
- আক্কেল সেলামি ঃ বোকামির দন্ড - বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণে অনেক সময় আক্কেল সেলামি দিতে হয়।
- ধৈর্য ধরলে সফল হয় ঃ ধৈর্য সহকারে কোন কাজ করলে তাতে সফলতা পাওয়া যায়।
- শরীরের নাম মহাশয় যাহা সয়াবে তাহাই সয় ঃ চেষ্টা করলে মানুষের শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- খাল কেটে কুমিরানা ঃ নিজের বিপদ ডেকে আনা।
- চেনা বামনের পৈতা লাগে না ঃ মানি ও জ্ঞানী লোককে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- গভীর জলের মাছ ঃ গোপনে গোপনে চালাকি করে কার্য উদ্ধার।
- খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি ঃ কাজের চেয়ে গল্প বেশি।
- আল্লাদের (আহ্লাদ) বউ তুমি কেঁদনা কেঁদনা চাল চিবিয়ে খাবো আমি রেধনা রেধনা ঃ কোন লোক যখন তার বউকে বেশি আহ্লাদ করে তখন এমন প্রবাদ বলা হয়।
- হাঁটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেওয়া ঃ অন্যের গোপন কথা প্রকাশ করা।
- পয়সা নাই দুই আনা বউ চায় সেয়ানা ঃ যোগ্যতার চেয়ে বেশি আশা করলে এমন বাক্য ব্যবহার করে।
- জাতে মাতাল তালে ঠিক ঃ কাউকে দেখতে পাগল মনে হলেও নিজের স্বার্থ পুরোপুরি বুঝে।
- অল্প জলের মাছ ঃ অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধিসম্পন্ন লোকের কাজ।
- অর্থ অনর্থ্যের মূল ঃ অর্থ সম্পদশালী লোকের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
- ইট মারলে পাঠকেল খেতে হয় ঃ কাউকে আঘাত করলে প্রতিঘাত পেতে হয়।
- ঝিকে মেরে বউকে শেখানো ঃ একজনকে ধমক দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষা দেওয়া।
- নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা ঃ নিজের অনিষ্ট করে অন্যের ক্ষতি করা।
- ভাগির মা গঙ্গা পায় না ঃ কারো সাথে শেয়ারে কাজ করলে সফল হওয়া যায় না।
- ঠেলার নাম বাবাজি ঃ বিপদে পড়লে বাঁচার জন্য অন্যকে তোষামোদ করা।
- আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ ঃ হঠাৎ বড়লোক হওয়া।
- যেমন কুকুর তেমন মুগুর ঃ শক্ত হাতে শত্রুকে দমন করা।
- যার দৌলতে রামের মা তারেই তুমি চেনো না ঃ কারো দ্বারা উপকৃত হলে তাকে অবমূল্যায়ন করা।
- নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল ঃ কোন কিছু না থাকার চেয়ে সামান্য হলেও থাকা ভালো।
- বোঝার উপর শাকের আঁটি ঃ মাথার উপর অতিরিক্ত বোঝা থাকলে তার উপরে পাতলা জিনিটাও ভারি মনে হয়।
- পেট ভরা থাকলে পাকা কলায় দাঁত বাসে না ঃ প্রয়োজন না থাকলে সহজ জিনিসও কঠিন মনে হয়।
- পুরান চাল ভাতে বাড়ে ঃ পুরানো বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকজনরাই বেশি উপকার করে।
- একই ঝাড়ের বাঁশ ঃ সবাই একই প্রকৃতির লোক।
- পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ঃ পরিশ্রম করলে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় ও সফলতা আসে।
- চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে ঃ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে মাথায় বিভিন্ন রকমের বুদ্ধি আসে।
- যে বনে যায় সে ফল খায় ঃ জ্ঞানী লোকেরা নিজেকে সব জায়গায় মানিয়ে নেয়।
- বালির বাঁধ ঃ অস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী যা অল্প চাপেই ভেঙ্গে যায়।
- যে খাইছে সাতবার তার জন্য ভাত বাড় যে খায় নাই একবার তার জন্য চাল ঝাড় ঃ যাদের সুবিধা আছে তাদেরকে আরও সুবিধা করে দেওয়া আর সুবিধা বঞ্চিত লোকদেরকে বাদ দেয়া।
- নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা ঃকাজে সফলতা না আসলে অন্যের দোষ চাপানো।
- দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা ঃ আদর যত্ন করে শত্রুকে লালন-পালন করা।
- হাতি ঘোড়া গেল তল মশা বলে কত জল ঃ কোন কাজে কাউকে তুচ্ছ বা অবহেলা করা।
- মায়ের পেটে ভাত নাই বউয়ের গলায় চন্দ্র হার ঃ যে লোক মাকে আদর-যত্ন না করে বউকে বেশি প্রাধান্য দেয় সেই লোককে তিরস্কার করে এ প্রবাদ বলা হয়।
- ডাকে দেওয়া বর্ষে না ঃ বেশি স্বর-গলে কাজ হয় না, মেঘের গর্জন বেশি হলে সেই মেঘে বৃষ্টি হয় না।
- তাসের ঘর ঃ ক্ষণস্থায়ী বা অস্থায়ী যা অল্প বাতাসেই ভেঙে পড়ে।
- ঘরের মধ্যে ঘর তার মধ্যে শুয়ে আছে কন্যা আর বর ঃ মশারির মধ্যে কন্যা আর বর শুয়ে আছে এমন বোঝানো হয়।
- চোরের দশ দিন গেরস্থের একদিন ঃ অপরাধীরা অপরাধ করতে করতে কোন একদিন ধরা পড়বে।।
- নাক চিপলে দুধ পড়ে ঃ যোগ্য লোককে অবহেলা করা।
- গোড়া কেটে মাথায় পানি ঢালা ঃ জ্ঞাতসারে অন্যায় করে গোপনে অনুশোচনা করা।
- নগর পড়লে দেবালয় কি বাঁচে ঃ কোথাও কোনো বিপদ হলে সে বিপদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা।
- এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো ঃ একই প্রকৃতির বা স্বভাবের লোকজন।
- কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না ঃ লজ্জা শরমহীন লোকজনকে ভালো কথা বললেও কখনো লজ্জা হয় না।
- চোরের মন পুলিশ পুলিশ ঃ অপরাধী ব্যাক্তিরা সব সময় ভয় থাকে।
- রাখে আল্লাহ মারে কে ঃ আল্লাহ ছাড়া কাউকে কেউ মারতে পারে না।
- আঁশ ভেঙ্গে শাশ শাশ ভেঙ্গে মাশ ঃ কারো কোন গোপন তথ্য খুঁটিনাট বের করা।
- পটল তলা ঃ মরে যাওয়া।
- যত দোষ নন্দ ঘোষ ঃ একজনের অপরাধ অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া।
- বিচার মানি তাল গাছটা আমার ঃ ন্যায়-অন্যায় বুঝতে চায়না শুধু নিজের স্বার্থটা দেখে।
- ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর অকাঁড়া ঃ দয়া-দক্ষিণ্য বা ভিক্ষায় পাওয়া জিনিসের মান বিচার করতে নেই।
- ঘাটের মরা ঃ অতি বৃদ্ধ।
- ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে সাপ এসে দখল করে ঃ সুবিধাভোগী লোকজন অন্যের তৈরি করা জিনিস জোর ভোগ-দখল করে।
- আমি যার করি আশা সে আমার সর্বনাশা ঃ যার কাছে সাহায্য পাওয়ার কথা সে উল্টো আরো ক্ষতি করে।
- এক হাত নেওয়া ঃ সুযোগ পেয়ে প্রতিশোধ নেওয়া।
- মারে আল্লাহ রাখে কে ঃ বিপদে পড়লে আল্লাহ ছাড়া কেউ রক্ষা করতে পারে না।
- ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই ঃ নিজেদের মধ্যে সব সময় হট্টগোল।
- অক্কা পাওয়া ঃ মারা যাওয়া।
- আগুন নিয়ে খেলা করা ঃ বিপদের আশঙ্কা তৈরি করা।
- অনুরোধে ঢেঁকি গিলা ঃ অনুরোধে অনুচিৎ কাজগুলো করা।
- সাপের পাঁচ পা দেখা ঃ অবাস্তব কল্পনা।
- দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেয় না ঃ সময় থাকতে কোন কিছু কদর না।
- সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ ঃ বন্ধু-বান্ধবী বা সহপাঠী ভালো হলে ছেলে-মেয়েরা ভালো হয় আবার সহপাঠী বা বন্ধু-বান্ধব খারাপ হলে ছেলে-মেয়েরা নষ্ট হয়ে যায়।
- আয় বুঝে ব্যয় কর ঃ যেটুকু আয়-রোজগার তার মধ্যেই বুঝে শুনে চলা উচিত।
- হাত দিয়ে হাতি ঠেলা ঃ অসম্ভবকে সম্ভব করার বৃথা চেষ্টা করা।
- যে খেয়েছে তার জন্য বাড়ো আর যে খায়নি তার জন্য রাধো ঃ যার প্রয়োজন নেই তাকে এখনি দাও আর যার প্রয়োজন আছে তাকে বিলম্বে দাও।
- কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ ঃ একজনের শান্তি হলে অন্য জনের কষ্ট।
- তোর তেল আঁচলে ধর আমার তেল ভাড়ে ভর ঃস্বার্থপর লোক নিজের স্বার্থ ঠিক রাখে অন্যের স্বার্থকে নষ্ট করে।
- ভাইয়ের শত্রু ভাই মাছের শত্রু ছাই ঃ নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করে আফসোস করে এই কথা বলে।
- ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার ঃ অযোগ্য কাউকে যোগ্য বলে দাবি করা।
- চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী ঃ যারা দুষ্ট বা খারাপ প্রকৃতির মানুষ তারা ধর্মের ভালো কথা শোনে না।
- অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর ঃ অল্প দুঃখ-কষ্টকে মানুষ কষ্ট অনুভব করলেও অধিক দুঃখ-কষ্ট হলে কষ্ট পেতে পেতে পাথরের মত শক্ত হয়ে যায়।
- আষাঢ়ে গল্প ঃ আজগুবি কাহিনী বা গল্প, যার কোন সত্যতা নেই।
- ছড়ায় যে জন পথে কাঁটা তার যেন থাকে জুতা আঁটা ঃ অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে সেই ক্ষতি একদিন নিজেরই হয়।
- চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই ঃ খারাপ স্বভাবের লোকের সাথে খারাপ স্বভাবের লোকের আত্মীয়তা।
- ধরাকে সরা জ্ঞান না করা ঃ হঠাৎ বড়লোক হলে কাউকে তুচ্ছ মনে না করা।
- কপালে নাই ঘি ঠকঠকালে হবে কি ঃ ভাগ্যে না থাকলে কোন কিছুই পাওয়া যায় না।
- সুপারিতে গোবর বাঁশে মাটি অফলা নারিকেল শিকড় কাটি ঃ সুপারি গাছের গোড়ায় গোবর সার আর বাঁশের গোড়ায় মাটি দিলে ফলন ভালো হয় অপরদিকে যে সকল নারকেল গাছে ডাব হয় না সেটি কেটে ফেলাই ভালো।
- জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ ঃ নিরাপত্তার অভাব বা সব জায়গাতেই বিপদ।
- পাশের বাড়ি বিয়াল গাই সেই সূত্রে পাড়াতো ভাই ঃ দূর সম্পর্কের আত্মীয়কে তুচ্ছ করে কথা বলা।
- যতই হোক না কহর ছাড়িও না শহর ঃ বিপদ আসলে স্থান ত্যাগ না করে সবাই মিলে বুদ্ধি দিয়ে মোকাবেলা করা উচিত।
- ঝোপ বুঝে কোপ মারা ঃ কৌশলে কাজ করা।
- দশের লাঠি একের বোঝা ঃ কোন কাজ দশ জন মিলে করলে সহজেই করা যায় কিন্তু দশ জনের কাজ একজনে করা যায় না।
- পরের ধনে পোদ্দারি ঃ অন্য জিনিস নিয়ে বাহাদুরি করা।
- ইল্লত যায় না ধুলে খাসলত যায় না মলে ঃ হাজার চেষ্টা করেও স্বভাব পরিবর্তন হয় না।
- যে রাঁধতে জানে সে চুল বাঁধতেও জানে ঃ যে অনেক কাজে পারদর্শী বা পটু।
- ভাগাড়ে গরু মরে শকুনের টনক নড়ে ঃ একজনের দুঃখ-কষ্টে অন্য জনের সুখ-শান্তি।
- হাঁটি হাঁটি পা পা ঃ যে সবেমাত্র কোন কাজ শিখছে এমন।
- যেই লাউ সেই কদু = উভয়পক্ষের মন জুগিয়ে চোলা।
- বজ্র আঁটুলি ফস্কো গেরো ঃ শাসন বেশি হলে তার ফল ভালো হয় না।
- চৈতের গীত বৈশাখে গায় তারে পুছে কোন হালায় ঃ সময়ের কথা সময়ে বলতে হয় অসময়ে বললে তার মূল্য থাকে না।
- পরের হাতের পিঠা খাইতে লাগে মিঠা ঃ অন্যের প্রশংসায় বিভর।
- জামা-কাপড় বেশুমার আক্কেল বিনা ছারখার ঃ পোশাক আর সাজসজ্জা দিয়ে বুদ্ধির দৈন্যতা দূর করা যায় না।
- পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গা ঃ অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা।
- নদীর জল ঘোলা ভালো জাতের নারী কালো ভালো ঃ নদীর পানিতে পলি থাকে সেজন্য ঘোলা ও ভালো হয়, তেমনি বিয়ের সময় মেয়ের আচার-ব্যবহার, শিক্ষা ও বংশ পরিচয় ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক করা হয়।
- থাকিলে নসিবে গড়িয়া গড়িয়া আসিবে ঃ ভাগ্যে থাকলে কোন না কোন ভাবে আপনি পেয়ে যাবেন।
- হাটে বাজারে লজ্জা নাই ঘরে লজ্জার কুঁড়ি ঃ নির্লজ্জ লোকজন যখন লজ্জার ভান করে তখন এমন প্রবাদ বলা হয়।
- খালি কলসি বাজে বেশি ঃ বুদ্ধিহীন লোকের গালগল্প বেশি।
- চোরের মায়ের বড় গলা ঃ ছেলের অপরাধ ঢাকার জন্য মায়ের উচ্চবাচ্য করা।
- অভাবে স্বভাব নষ্ট ঃ অভাবে পড়লে লোকজনের মান-ইজ্জত ঠিক থাকে না।
- খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে কাল হলো তার এঁড়ে গরু কিনে ঃ যে যে পেশার লোক তার সেই পেশাতেই একাগ্র চিত্তে কাজ করে সফলতা আনা উচিত, অন্য পেশায় গেলে তার ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।
- একমুখে দুই কথা শুনে লাগে মনে ব্যথা ঃ যারা কথার হেরফের করে তাদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করার জন্য বলা হয়।
- বিনা মেঘে বজ্রপাত ঃ হটাৎ বিপদ আসা।
- ঘর পোড়ার মাঝে আইছে আলু পোড়া দিতে ঃ অন্যের কষ্ট যেনেও আসছে নিজের স্বার্থ উদ্ধারে, এতে বিপদগ্রস্তদের আরও কষ্ট আরও দেয়।
- শিয়ালের কাছে মুরগি বাগি বা বর্গা ঃ যার কাছে যেটি নিরাপদ নয় তার কাছে সেটি নিরাপত্তার জন্য রেখে যাওয়া।
- কারো কারো শাকে বালি কারো আবার দুধে চিনি ঃ লাভবানদের আরো লাভ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আরো ক্ষতির আশঙ্কা বুঝাতে ব্যবহার করা হয়।
- চোরের উপর বাটপাড়ি ঃ একজন দুষ্ট লোকের উপর আরেকজন দুষ্ট লোকের খবরদারি।
- ঝড়ে বক পড়ে ফকিরের কেরামতি বাড়ে ঃ ফফরবাজ লোকজনের মিথ্যা কেরামতির আশ্বাস, আসলেই তার কিছু করার নেই।
- সাঁতার না জানলে বাপের পুকুরেও ডুবে মরে ঃ অনভিজ্ঞ ব্যক্তিরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
- পবা (পাবদা) বড় হলেও বয়ালা হয় না ঃ নিজ নিজ প্রকৃতি বা আচরণ থেকে কেউ বের হতে পারে না।
- দুধে মাছি ঃ সুসময়ের বন্ধু, এমন অনেক বন্ধু আছে যারা সুসময়ে কাছে আসে দুঃসময়ে কেটে পড়ে।
- বাছা শাকে পোকা বেশি ঃ বেশি খুঁতখুঁতে লোকের দ্বারা ভালো কিছু আশা করা যায় না।
- আজ বুঝবি না বুঝবি কাল ছাই তুদবি আর পাড়বি গাল ঃ কাউকে কোন ভালো বিষয় সম্পর্কে বারবার বুঝানোর পরেও যখন বুঝে না তখন এমনটি বলা হয়।
- যে নদীর গভীরতা বেশি তার শব্দ কম ঃ জ্ঞানী লোকেরা হট্টগোল না করে কাজ বেশি করে।
- ভাত পায় না চা খায় সাইকেল চালায় বাথরুমে যায় ঃ সাধ্যের চেয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা। ব্যঙ্গার্থে এই কথাগুলো বলা হয়।
- ঝোলের লাউ অম্বলের কদু = সকলের মন জুগিয়ে চলা।
- ডোল ভরা আশা কুলা ভরা ছাই ঃ বেশি আশা করলে নিরাশ হতে হয়।
- কাজের বেলায় ভাগে খাবার বেলায় আগে ঃ সুবিধাভোগী লোকজন কাজ করার সময় খোঁজ থাকে না আর খাওয়ার সময় আগে আগে আসে।
- যে রক্ষক সেই ভক্ষক ঃ যে ব্যক্তির কাছে যে জিনিস নিরাপদ না ঐ ব্যক্তির কাছেই ঐ জিনিস রেখে দেওয়া।
- চোরে চোরে আলী এক চোরে বিয়ে করলো আরেক চোররের শালী ঃ দুষ্টু বা খারাপ লোকজনের সাথে খারাপ লোকজনের মিল থেকে থাকে।
- সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে ঃ সঙ্গ বা সহপাঠী ভালো হলে সে লোকজন ভালো হয়।
- আপন বুদ্ধি ছিল ভালো পরের বুদ্ধিতে পাগল হলো ঃ পরের বুদ্ধিতে কাজ করে ঠকে গেলে কষ্টটা বেশি হয় সেজন্য নিজের বুদ্ধিতে কাজ করাই ভালো।
- টোটো কোম্পানির ম্যানেজার ঃ কোন কাজ কাম না থাকলে সারাদিন ভোঁ ভোঁ করে ঘুরে বেড়ালো।
- অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায় ঃ পরিশ্রম না করে ভাগ্যের দোষ দেওয়া লোকের সব জায়গাতেই ব্যর্থতা চলে আসে।
- উঁচু কপালী চিরল দাঁতি লম্বা মাথার কেশ এমন নারী করলে বিয়ে ঘুরবে নানান দেশ ঃ নারীর বাহ্যিক রূপকে বুঝানো হয়েছে বিশেষ করে বিয়ের ক্ষেত্রে।
- শুধু কথায় চিঁড়ে ভিজে না ঃ কথা দিয়ে কাউকে জয় করা গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায় না।
- অতি লোভে তাঁতি নষ্ট ঃ বেশি লোভ করলে তার ফল ভালো হয় না।
- জ্যান্তে দেয় না চাল ভাঁজার খোলা মরলে দেবে রামায়ণের পালা ঃ জীবিত অবস্থায় কাউকে সামান্যতম সাহায্য না করে মরার পরে অনেক কিছু দেবে বলে প্রতিশ্রুতি করা।
- কাঁচা বাঁশে ঘুম ঃ অল্প বয়সেই স্বভাব নষ্ট হয়ে যাওয়া।
- চোরকে কয় চুরি কর গেরস্থকে কয় সজাগ থাকো ঃ দুমুখো আচরণ যার।
- অলক্ষীর নিদ্রা বেশি কাঙ্গলের ক্ষুধা বেশি ঃ যার মধ্যে সংসারের চিন্তাভাবনা নেই তার ঘুম হয় বেশি আর যার ঘরে খাবার নেই তার ক্ষুধা বেশি।
- অল্প জলের মাছ ঃ হতবুদ্ধি বা নিতান্তই বোকা লোক।
- অন্ধ লোককে হাতি দেখানো ঃ অল্প জ্ঞানী লোকজন বিজ্ঞ লোকদের মতামত।
- ধান ভাঙতে শিবের গীত ঃ অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা বা গানের অবতারণা।
- ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঃ কোন কথা গোপন রাখার চেষ্টা।
- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল ঃ কোন কিছু পাওয়ার আগেই সেটি ভোগ করার পরিকল্পনা।
- বামন হয়ে চাঁদে হাত ঃ অকল্পনীয় বা অসম্ভবকে পাওয়ার চেষ্টা।
- চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা ঃ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে বিপদ হয় সুতরাং এ বিদ্যা চর্চা না করাই উচিত।
- পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে ঃ সম্মুখে বিপদ দেখেও সামনে অগ্রসর হয়।
- বন্যের বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ঃস্বভাবগত ভাবে যার যেখানে অবস্থান তাকে সেখানেই মানায়।
- মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত ঃ নির্দিষ্ট সীমানা বা গন্ডি মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা।
- সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে ঃ কৌশলে উভয় কুল বজায় রেখে চলা।
- আপন হাত জগন্নাথ পরের হাত এঁটো পাতা ঃ সব সময় নিজের জিনিসকে ভালো মনে করা আর অন্যের জিনিসের প্রতি ঘৃণা করা।
- কম তেল ভাজা মচ মচ ঃ আয়োজনের তুলনায় প্রত্যাশা বেশি।
- যে নয় আমার অনুগত কেঁদে প্রেম বাড়াবো কত ঃ যে লোক যুক্তি-তর্ক মানে না বা শোনে না তাকে উপদেশ দেওয়া অনর্থক।
- আগের নাঙ্গল যেদিক দিয়ে যায় পরের নাম গুলো সেদিকে যায় ঃ অন্যকে অনুসরণ করে চলা।
- ভাইয়া পরের ধন বাপে পুতে করে কীর্তন ঃ অন্যের ধন সম্পদ নিয়ে নিজে বাড়াবাড়ি বেশি করা।
- অধিক সন্ন্যাসীতে গাজর নষ্ট ঃবেশি লোকজন হলে কাজের বিশৃঙ্খলা হয়।
- বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ ঃ বৃদ্ধ বয়সে যুবক বা শিশুদের মতো আচরণ করা।
- বামন গেল ঘর তো নাঙ্গল তুলে ধর ঃ কাজের সময় কর্তা ব্যক্তিরা থাকলে কাজ সঠিক ভাবে হয়, কর্তা না থাকলে জমিতে লাঙ্গল দেওয়টাও ভালো হয় না।
- সোনার আংটি বাঁকাই কি বা সোজাই কি ঃ কাউকে অতিরিক্ত তোষামোদ করার ক্ষেত্রে বোঝানো হয়।
- নিজের চরকায় তেল দাও ঃ অন্যের কাজে নাক না গলিয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া।
- দেবতার বেলায় লীলাখেলা পাপ লিখেছে মানুষের বেলায় ঃ সামাজিক বিধি বিধানের নিষ্ঠুর প্রয়োগ।
- দশচক্রে ভগবান ভূত ঃ চক্রান্ত করে ভালো মানুষকে দোষী করা।
- কয়লা ধুলে ময়লা যায় না ঃ খাসলত খারাপ হলে হাজারো বললেও পাল্টায় না।
- ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচ ঃ বাহিরটা দেখে কাউকে বিচার করা যায় না ঘোমটার আড়ালে বদমাশি।
- আমার শীল আমার নোড়া ভাঙ্গো আমার দাঁতের গোঁড়া ঃ যার অর্থ-কড়ি বা অস্ত্র তাকেই ঘায়েল করতে চাওয়া।
- উচিত কথায় বন্ধু বেজার গরম ভাতে বিলাই বেজার ঃ রুঢ় সত্য কথা সব সময় তিক্ত হয়।
- বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এইবার ঘুঘু তোমায় বধিব পরান ঃ দুষ্টু লোকজন বারবার দুষ্টামি করলেও শেষ পর্যন্ত পার পায় না শাস্তি হয়।
- পটল বুনলে ফাগুনে ফলন বাড়ে দ্বিগুনে ঃ যথা সময়ে ফসল করলে ফলন বেশি পাওয়া যায়।
- ভ্যাক না ধরলে ভিক্ষা মিলে না ঃ পরিবেশ, পেশা ও কাজের উপযোগী বেশভূষা দরকার হয়।
- যার জন্য করে চুরি সে বলে চোর ঃ যার উপকার করার জন্য নিজেকে ছোট করলেন সেই এসে আবার আপনাকেই দোষ দিবে।
- বাতাসে পাতিয়া ফাঁদ ধরে দিতে পারি চাঁদ ঃ কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ভালো সাজার চেষ্টা করা।
- লাল মিয়া হাটে যায় হাতে হাতে থাপ্পড় খায় ঃ মাটির হাড়ি পাতিল কেনার সময় সবাই একটু বাজিয়ে দেখে।
- ডাইনে আনতে বায়ে কুলোয় না = আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
- পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায় ঃ অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন করলে তা একসময় নষ্ট হয়ে যায়।
- কান টানলে মাথা আসে ঃ প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করার জন্য আনুষঙ্গিক কিছু কাজ।
- প্রেমের মরা জলে ডুবে না ঃ প্রকৃত প্রেম বৃথা যায় না।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url