ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের নাম সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা জেনে নিন
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের নাম সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা জানার জন্য আপনারা গুগলসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করছেন। আপনাদেরকে কষ্ট করে আর অন্য কোন ওয়েবসাইটে সার্চ করতে হবে না। এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লেই আপনি ঢাকা টু খুলনা রুটের ট্রেন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি ঢাকা টু খুলনা রুটের ট্রেনের নাম কি? ট্রেনের সময়সূচি, ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, ট্রেনের ভাড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাবলী। আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে সকল তথ্যগুলো এক জায়গাতেই খুঁজে নিন।পেজ সুচিপত্র
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের নাম
ঢাকা শহর থেকে খুলনা শহরের মধ্যে চলাচল করে অন্যতম দুইটি আন্তঃনগর ট্রেন। আপনারা এতক্ষণে সবাই খোঁজাখুঁজি করছেন যে ঢাকা থেকে খুলনাগামী ট্রেনের নাম কি? ঢাকা টু খুলনা রুটে ২টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে। ট্রেন দুটির নাম হলো -
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ৭২৬,
- চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ৭৬৪।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী
আপনাদেরা যেন সহজেই ট্রেনের সময়সূচি পেয়ে জান সে জন্য এখনই আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে কোন ট্রেনটি কয়টার সময় ছাড়ে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাবলী। ঢাকা টু খুলনা যে ট্রেন দুটি চলাচল করে সেই ট্রেনের সময়সূচি নিম্নে প্রদান করা হলো।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস | কমলাপুর, ঢাকা | ||||
কমলাপুর, ঢাকা |
আরও পড়ুন ঃ রাজশাহী টু পঞ্চগড় ট্রেনের নাম সময়সূচী ও ভাড়া জেনে নিন।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের ভাড়া
প্রিয় যাত্রী বৃন্দ আপনারা আগে থেকেই অবগত আছেন যে এসি কামরা, নন-এসি কামরা ও আসন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে ট্রেনের টিকেটের মূল্য কম-বেশি হয়ে থাকে। এসি, নন এসি ও সাধারণ আসন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নির্ধারিত ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের টিকেটের মূল্য তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো।
এসি চেয়ার | |
এসি বার্থ | |
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের নাম সময়সূচী টিকেট ও ভাড়ার তালিকা সম্পর্কিত আর্টিকেলটিতে এখন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিব ঢাকা থেকে খুলনা ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম বা কিভাবে টিকিট কাটবেন সে সম্পর্কে। এ সকল তথ্যগুলো জানার জন্য আপনারা কখনো কখনো অন্য যাত্রীদেরকে জিজ্ঞেস করেন বা গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনার এ বিষয়টিকে আরও সহজ করে দেওয়ার জন্যই তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হলো।
ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট দুই ভাবে কাটতে পারেন। অনলাইনে কোন ঝামেলা ছাড়াই নিরাপদে ঘরে বসে থেকে টিকিট কেটে নিতে পারেন অথবা সরাসরি রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে নিয়ম-কানুন মেনে টিকিট কেটে নিতে পারেন। টিকিট ছাড়া ট্রেন জার্নি থেকে বিরত থাকুন। টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠলে যে কোন সময় বিপদ হতে পারে। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানতে এখানে ক্লিক করুন।
ঢাকা টু খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কে কিছু কথা
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ঢাক শহর থেকে খুলনা শহরের মধ্যে চলাচলকারী অন্যতম একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি ২০০৩ সালের ১৭ই আগস্ট তারিখে সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামে উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে অদ্যাবধি রেল সেবায় যুক্ত আছে। এই ট্রেনটিতে পাওয়ার কার সহ মোট ১৩টি এলএইচবি কোচ সংযুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ রাজশাহী টু দিনাজপুর ট্রেনের নাম সময়সূচী ও ভাড়া জেনে নিন।
এই সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলার পথে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনা এই ১০টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে। পরবর্তী সময়ে রাজধানী ঢাকা টু খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস নামে অপর একটি ট্রেন যুক্ত হয়। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে ঢাকা টু খুলনা রুটে সাপ্তাহিক ছুটি বুধবার (সুন্দরবন) ও সোমবার (চিত্রা ) ছাড়া ট্রেন ২টি নিয়মিত চলাচল করছে।
ঢাকা টু খুলনা রেলপথে দূরত্ব কত?
আপনারা যারা ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনাতে ট্রেনে ভ্রমণ করেন তারা অনেকেই জানেন না যে এই দূরত্ব কত কিলোমিটার? এই তথ্যটি জানার জন্য আপনারা গুগলে সার্চ করে থাকেন। সে জন্যই তথ্যটি আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম। ঢাকা থেকে রেলপথে খুলনার দূরত্ব হলো ৪০৫ কিলোমিটার বা ২৫২ মাইল।
আরও পড়ুন ঃ মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক জেনে নিন।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেন যে সকল স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়
আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দিব সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন ২টি ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে যে সকল স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয় সে সম্পর্কে অর্থাৎ যেসকল স্টেশনে যাত্রীরা ট্রেনে উঠা-নামা করতে পারেন। ট্রেন ২টি ঢাকা থেকে খুলনা রুটে চলার পথে ১৯টি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। বিরতি কালিন স্টেশনগুলোর নাম পর্যায়ক্রমে নিম্নে প্রদান করা হলো।
- কমলাপুর, ঢাকা (যাত্রা শুরু),
- বিমান বন্দর স্টেশন,
- জয়দেবপুর,
- টাঙ্গাইল,
- বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন,
- ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্টেশন,
- জামতৈল স্টেশন,
- উল্লাপাড়া স্টেশন,
- বড়ালব্রিজ স্টেশন,
- চাটমোহর স্টেশন,
- ইশ্বরদী জংশন,
- ভেড়ামারা,
- পোড়াদহ স্টেশন,
- আলমডাঙ্গা,
- চুয়াডাঙ্গা,
- কোট চাঁদপুর,
- মোকাররমগঞ্জ,
- যশোর জংশন,
- নয়াপাড়া,
- দৌলতপুর স্টেশন,
- খুলনা (শেষ গন্তব্য)।
ঢাকা টু খুলনা ট্রেন সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা FAQ
আপনারা এই ট্রেন সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনাদের জিজ্ঞাসার আলোকে প্রশ্ন-উত্তরগুলো নিয়েই এপর্বটি সাজানো হয়েছে। আপনাদের সাধারণ জিজ্ঞাসা নিম্নে একটু কষ্ট করে পড়ে জেনে নিন।
প্রশ্ন ঃ ঢাকা থেকে রেল পথে খুলনার দূরত্ব কত?
উত্তর ঃ রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ৪০৫ কিলোমিটার বা ২৫২ মাইল।
প্রশ্ন ঃ ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে কত সময় লাগে?
উত্তর ঃ ট্রেনে ঢাকা থেকে খুলনা যেতে প্রায় ৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট সময় লাগে।
প্রশ্ন ঃ ঢাকা টু খুলনা রুটে যে ট্রেন চলাচল করে তার নাম কি?
উত্তর ঃ ঢাকা টু খুলনা রুটে দুটি ট্রেন চলাচল করে, তার নাম হলো -
- সুন্দরবন এক্সপ্রেস (ট্রেন),
- চিত্রা এক্সপ্রেস (ট্রেন)।
প্রশ্ন ঃ এই ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর ঃ জ্বি, এই ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা আছে।
প্রশ্ন ঃ ঢাকা টু খুলনা ট্রেন সপ্তাহের কোন দিন বন্ধ থাকে?
উত্তর ঃ ঢাকা টু খুলনা ট্রেন সপ্তাহে বুধবার (সুন্দরবন) ও সোমবার (চিত্রা) বন্ধ থাকে।
উপসংহার
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ঢাকা টু খুলনা ট্রেন সম্পর্কে অর্থাৎ এই রুটের ট্রেনের নাম, ট্রেনের সময়সূচি, ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম ও ট্রেনের ভাড়াসহ বিভিন্ন তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছে। প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্টস বক্সে জানানোর অনুরোধ রইল।
বাংলাদেশ রেল সেবা সম্পর্কে আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন যেন অন্যরাও এতথ্যগুলো পড়ে জানতে পারে। টিকেট কেটে নিরাপদে ট্রেন জার্নি করবেন, অন্যের দেওয়া কোন খাবার খাবেন না, নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url