৫৫০+ বাংলা বাগধারা তালিকা

৫৫০+ বাংলা বাগধারা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। বাংলা ভাষায় রূপক অর্থে বাগধারা গুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাগধারা ব্যবহারের ফলে বাংলা ভাষা আরো শ্রুতিমধুর হয়েছে, হয়েছে সমৃদ্ধ। বলা যেতে পারে বাগধারা বাংলা ভাষার অলংকার। গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি মানুষই বুঝে বা না বুঝে এই বাগধারা গুলো ব্যবহার করে থাকেন।

বাংলা বাগধারা পড়ুন

বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলা ভাষায় অগণিত বাগধারার সৃষ্টি হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন গ্রাম বাংলায় বহুল ব্যবহৃত মজার মজার বাগধারা ও তার অর্থ, যেগুলো বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় প্রশ্ন হিসেবে দেওয়া হয়। চলুন আর দেরি না করে সেই বাগধারা গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সুচিপত্র

বাগধারা কাকে বলে 

বাগধারা শব্দটির আভিধানিক হলো কথার ঢং বা কথার বচন ভঙ্গি বা কথার রীতি বা কথার ভাব। কোন শব্দ বা শব্দ গুচ্ছ যদি কোন বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে অর্থের দিক থেকে‌ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে ওঠে তখন সে শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে একত্রে বাগধারা বলা হয়। বলা যায় এই বাগধারা গুলো আভিধানিক অর্থ বা বাক্যার্থ ছাপিয়ে ব্যঙ্গার্থই প্রধান হিসেবে প্রকাশ পায়।

অ দিয়ে বাগধারা

বাগধারা = অর্থ 
  • অ আ ক খ = প্রাথমিক জ্ঞান।
  • অকাল কুমান্ড = অকর্মা বা অকেজো বা অপদার্থ।
  • অশনি সংকেত = চরম বিপদ।
  • অগত্যা যাত্রা = মারা যাওয়া।
  • অল্প জলের মাছ = বুদ্ধিহীন।
  • অকূল =  মহাসংকট বা কঠিন বিপদ।
  • অক্কা পাওয়া = মরে যাওয়া।
  • অগ্নিপরীক্ষা = কঠিন পরীক্ষা।
  • অমৃতে অরুচি = অতি ভাল খাবারেও অনিচ্ছা।
  • অরণ্যের রোদন = নিষ্ফল বা বৃথা আবেদন।
  • অজগর বৃত্তি = অলস প্রকৃতির।
  • অমবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু।
  • অকূল দরিয়া= চরম বিপদ বা মহাসংকট।
  • অঙ্গের ভূষণ = স্বভাবের বৈশিষ্ট্য।
  • অগ্নি শর্মা = অতিশয় ক্ষুব্ধ বা রাগ।
  • অবরে সবুরে = মাঝেমধ্যে দেখা।
  • অথৈ জলে পড়া = কঠিন বিপদে পড়া।
  • অক্ষরে অক্ষরে = সম্পূর্ণভাবে বা যথাযথ।
  • অন্ধকার দেখা = সমস্যায় পড়া।
  • অকালের বাদলা = অপ্রত্যাশিত বাধা।
  • অহি নকুল সম্বন্ধ= কঠিন শত্রুতা।
  • অদৃষ্টের পরিহাস = ভাগ্যের নির্মম পরিহাস
  • অন্ধের ষষ্ঠী = একমাত্র অবলম্বন।
  • অন্তর টিপুনি = মর্ম ব্যথা।
  • সকালের বাদল = অপ্রত্যাশিত বিপদ।
  • অন্নপ্রাশনের ভাত = উঠে আসা।
  • অন্ধকারে ঢিল মারা = আন্দাজে কাজ করা।
  • অশনি সংকেত = বিপদ।
  • অকুল পাথার = ভীষণ বিপদে পড়া।
  • অন্তর দাহ = মনের জ্বালা।
  • অগ্নিগর্ভ = তেজঃপুর বা বলিষ্ঠ।
  • অনধিকার চর্চা = সীমার বাইরে চেষ্টা করা।
  • অকাল বদল = মানে অসময় দর্শন। 
  • অতি দর্পে লঙ্কা হত = অহংকারে পতন হয়।
  • অকুলাতারণ = বিপদে যে রক্ষা করে এমন ব্যাক্তি।
  • অগত্যা মধুসূদন = কোন উপায় না পেয়ে।
  • অকালের তাল = অসময়ে প্রাপ্ত দ্রব্য বা জিনিস।
  • অংকুরে বিনষ্ট = শুরুতেই শেষ।
  • অকুলের কুল = বিপদ মুক্তি।

আ দিয়ে বাগধারা

বাগধারা= অর্থ 

  • আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অপদার্থ।
  • আষাঢ় গল্প = আজগুবি কথাবার্তা।
  • আক্কেল গুড়ুম = হতভম্ব।
  • আকাশে তোলা = অতি প্রশংসা করা।
  • আক্কেল সেলামি = বোকামির দন্ড।
  • আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ = হঠাৎ বড়লোক হওয়া।
  • আকাশ কুসুম = অবাস্তব কল্পনা।
  • আলালের ঘরের দুলাল = অতি আদরের সন্তান।
  • আঁতে ঘা = মনোকষ্ট।
  • আদায় কাচকলয় = শত্রুতা
  • ।আগুন নিয়ে খেলা = বিপদজনক ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করা।
  • আঠারো আনা= বেশি বাড়াবাড়ি।
  • আল্লাদে বা আহ্লাদে আটখানা = অতি আনন্দে দিশেহারা।
  • আদা জল খেয়ে লাগা = মরণ পণ চেষ্টা করা। 
  • আকাশ পাতাল = বিস্তর ফারাক।
  • আক্কেল দাঁত উঠা = পাকা বুদ্ধি।
  • আকাশে থুতু ফেলা = নিজে নিজের ক্ষতি করা।
  • আদার ব্যাপারী = সামান্য কাজে বেশি ব্যস্ত।
  • আমতা আমতা করা = ইতস্ততা করা।
  • আড়ি পাতা = লুকিয়ে লুকিয়ে কথা শোনা।
  • আগুনে ঘি ঢালা = দুঃখ-কষ্ট বাড়িয়ে দেওয়া।
  • আদিখ্যাতা = নেকামি।
  • আবোল তাবোল = বাজে কথা বা অযৌক্তিক কথা।

উ দিয়ে বাগধারা

বাগধারা = অর্থ 

  • উত্তম মাধ্যম = মারা বা প্রহার করা বা পিটুনি।
  • উড়ে এসে জুড়ে বসা = অনাধিকার চর্চা।
  • উড়নচণ্ডী = উশৃঙ্খলা বা অমিতব্যয়ী।
  • উভয় সংকট = শাখের করাত।
  • উড়ো কথা = গুজব।
  • উলুবনে মুক্তা ছড়ানো = অপাত্রে মূল্যবান জিনিস দান।
  • উনিশ বিশ= সামান্য পার্থক্য।
  • উদোর পিণ্ড বুদোর ঘাড়ে = একজনের অপরাধ অন্যের উপর চাপানো।
  • খুসখুস করা = অস্বাথির বা ছটফট করা।
  • ভাতে লাথি মারা = নগণ্য লোকের দ্বারা অপমানিত হওয়া।
  • ঊন পাঁজরে = হতভাগ্য বা অপদার্থ বা দুর্বল।
  • ঊনপঞ্চাশ বায়ু  = পাগলামি বা ন্যাকামি।

ই দিয়ে বাগধারা

  • ইঁদুর কপালে ≠ মন্দ ভাগ্য।
  • ইলিশ গুড়ি = গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি।
  • ইঁচড়ে পাকা = অকালেই পেঁকে যাওয়া।
  • ইতর বিশেষ = পার্থক্য।

এ/ও দিয়ে বাগধারা

বাগধারা = অর্থ 

  • একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়।
  • একচোখা = পক্ষপাতদুষ্ট  বা পক্ষপাতিত্ব।
  • একা ঘরে গিন্নি = কর্তৃত্ব।
  • এলাহী কান্ড = বিরাট আয়োজন। 
  • এক মাঘে শীত যায় না = বিপদ একবারই আসে না।
  • এক কথার মানুষ = দৃঢ় সংকল্প।
  • এক্ষরে মাথা মোড়ানো = একই স্বভাব বা প্রকৃতির লোক।।
  • এসপার ওসপার = মীমাংসা বা নিষ্পত্তি।
  • এক কথার মানুষ = জবান ঠিক রাখা।
  • ঔষধ পড়া = প্রভাব পড়া।
  • ঔষধ ধরা= সক্রিয় হওয়া।
  • ঔষধ করা =  বশ করা।
  • ওলা ওঠা = কলেরা রোগ।
  • ওজন বুঝে চলা = আত্ম সম্মান রক্ষা করা। 
  • ওঝার ঘাড়ে ভূত = বিপদগ্রস্ত কান্ডারী।
  • ওত পাতা = সুযোগের প্রতীক্ষায় থাকা।

ক দিয়ে বাগধারা

বাগধারা= অর্থ 

  • কৈ মাছের প্রাণ = যা সহজে মরে না।
  • কুলুর বলদ  = একটানা খাটুনি
  • কেতা দুরন্ত =  ফিটফাঠ।
  • কড়ি কপালে = ভাগ্যবান।
  • কংস মামা = নির্মম আত্মীয়।
  • কলোপ কল্পনা = মনগড়া কথা।
  • কানু ছাড়া গীত নাই ≠ গীত রচনার এক মাত্র অবলম্বন।
  • কথার ফুলঝুরি = বাক্যটুতা।
  • কাট গোঁয়ার = একগুঁয়ে মানুষ।
  • কচু কাটা করা = ধ্বংস করা।
  • কাটমোল্লা = ধর্মান্ধ মুসলমান।
  • কুল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা।
  • কেঁচো খুঁড়তে সাপ = সামান্য থেকে অসামান্য।
  • কান খাড়া = যার কান সজাগ।
  • কলির সন্ধ্যা = দুর্দিনের সূচনা।
  • কায়দায় পড়া = বসে আসা।
  • কেবলা হাকিম = অনভিজ্ঞ।
  • কলির সন্ধ্যা = দুঃখের সূচনা।
  • কাট খোট্টা = নিরস।
  • কাঁচা পয়সা = নগদ উপার্জন।

খ দিয়ে বাগধারা 

  • খয়ের খাঁ = তোষামোদকারী বা চাটুকারিতা।
  • খোদার খাসি = চিন্তাভাবনা হীন ব্যক্তি বা হৃষ্টপুষ্ট লোক।
  • খাতা খোলা = কাজকর্ম শুরু করা।
  • খিচুড়ি পাকানো = সহজ বিষয় জটিল করা।
  • খাল কেটে কুমির আনা = নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা
  • খেজুরি আলাপ = অকাজের কথা বা অকাজের গল্প।
  • ক্ষণজন্মা = যা সহজে হয় না।
  • খেউর গাওয়া = গালাগালি করা।

গ দিয়ে বাগধারা 

  • গভীর জলের মাছ = অতি চালাক।
  • গণেশ উল্টানো = ফেল মারা।
  • গা ঢাকা দেওয়া = আত্মগোপন করা।
  • গোড়ায় গলদ = শুরুতেই ভুল।
  • গররাজি বা নিম রাজি = কাজে অনিচ্ছা।
  • গোকুলের ষাঁড় = স্বেচ্ছাচারী বা ভবঘুরে।
  • গুরুচন্ডালি ভাব = উঁচু নিচুর সহাবস্থান।
  • গুলতানি = বাজে আড্ডা।
  • গোবর গণেশ = মূর্খ।
  • গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না = নিজের দেশে গুণীর কদর নেই।
  • গ্যাড়াকল = লোকজনকে ঠকানোর কৌশল।
  • গোল্লায় যাওয়া = অধঃপতন হওয়া ।
  • গ্যাটের মাল = চোরাই পণ্য।
  • গোলাগোলি = ঘনিষ্ঠতা।
  • গ্যাঁট হয়ে বসা = অনড় বা অবিচল হয়ে থাকা।
  • গোঁপ খেজুরে = নিতান্তই অলস।
  • গড্ডালিকা প্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ।
  • গাছে কাঁঠাল গোপে তেল = সফলতার আগেই ফল ভোগ করার আশা।
  • গায়ে ফু দিয়ে বেড়ানো = কোন দায়িত্বভার না নেওয়া।
  • গোঁ ধরা = একগুঁয়েমি বা জেদ করা।

ঘ দিয়ে বাগধারা 

  • ঘাটে মরা = অতি বৃদ্ধ।
  • ঘাড়ে গর্দানে = অত্যন্ত মোটা।
  • ঘটি চোর = ছিঁচকে চোর বা ছোটখাটো চুরি।
  • ঘোড়ার রোগ = সাধ্যের অতিরিক্ত ইচ্ছা বা সাধ।
  • ঘরের শত্রু বিভীষণ = যে বাড়িতে গন্ডগোল করে।
  • ঘ্যাট মানা = দোষ স্বীকার করা।
  • ঘোড়ার ঘাস কাটা = বাজে কাজ করা।
  • ঘেঁষ দেওয়া = আমলে নেওয়া।
  • ঘোড়ার ডিম =অলিক বস্তু।
  • ঘা খাওয়া = আঘাত পাওয়ার।

চ দিয়ে বাগধারা

  • চোখের মনি = অতি আদরের ধন।
  • চোখের পর্দা = লজ্জা।
  • চসম খোর = লজ্জাহীন বা বেহায়া।
  • চম্পট দেওয়া = পালানো।
  • চুনকালি দেওয়া = কলঙ্ক দেওয়া।
  • চোখের বালি = শত্রুতা।
  • চুল পাকানো = অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা।
  • চাচা আপন জান বাচা = নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা।
  • চোখের নেশা = রূপের মোহ।
  • চোখে ঠুলি পড়া = উপেক্ষা করা।
  • চিনির পুতুল = শ্রম কাতুরে।
  • বুকে চড়া = আক্রমণ করা।
  • চোখে সরষে ফুল দেখা = বিপদে দিশেহারা হওয়া।
  • চিচিং ফাক গোপন = রহস্য প্রকাশ।
  • চিনে যোঁক = নাছোড় বান্দা।

ছ দিয়ে বাগধারা 

  • ছা পোষা = অত্যন্ত গরিব।
  • ছাতা ধরা = অতি আনুগত্যশীল।
  • ছাই চাপা আগুন = প্রতিভা প্রকাশিত হওয়া।
  • ছক্কা বন্ধ করা = লম্বা লম্বা কথা বলা বা বড় বড় কথা বলা।
  • ছুচোর কীর্তন = অবিরাম কলহ বা ঝগড়া বিবাদ।
  • ছ কড়া ন কড়া = সস্তা দরে।
  • ছাতি ফাটা = তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাওয়া।
  • ছেলের হাতের মাওয়া =  সহজলভ্য বস্তু।
  • ছেকে ধরা = ঘিরে ধরা।

জ/ঝ দিয়ে বাগধারা

  • জগাখিচুড়ি পাকানো = গোলমাল বাধানো।
  • জিলাপির প্যাচ = কুটিলতা।
  • জাহান্নামে যাওয়া = গোল্লায় যাওয়া।
  • জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ = উভয় সংকট।
  • জোড় হুকুম = তোষামোদকারী।
  • ঝোপ বুঝে কোপ মারা = সুযোগ মতো কাজ করা।
  • ঝোলে অম্বলে এক করা = মিশিয়ে ফেলা।
  • ঝড়ো কাক = বিপর্যস্ত অবস্থা।
  • ঝাঁকের কৈ = একই দলের লোকজন।
  • জাত খাওয়া = জাতি নষ্ট করা বা জাতিভ ভ্রষ্ট করা।
  • জলে লাউ অম্বলের কদু = সব পক্ষের মন জুগিয়ে চলা।
  • ঝিকে মেরে বউকে শেখানো = একজনের মাধ্যমে অপরকে শিক্ষা দান।
  • জোচ্চরি বা জুয়া চুরি  = লোক ঠকানো।

ট দিয়ে বাগধারা

  • টনক নড়া = হুস হওয়া।
  • টুইটুম্বুর = ভরপুর বা পরিপূর্ণ।
  • টাকার গরম =  অর্থের অহংকার।
  • টক্কর দেওয়া = প্রতিযোগিতা করা।
  • টানা পড়েন = উভয় সংকট।
  • টাকার শ্রাদ্ধ= টাকার অপচয়।
  • টেক্কা দেওয়া বা টেক্কা মারা = পরাজিত করা।
  • ট্রেনি কাটা = মাথার চুল সিঁথি করা।
  • টনটনে = অত্যন্ত সতর্ক।

ঠ দিয়ে বাগধারা 

  • ঠোঁট কাটা = স্পষ্টভাষী।
  • ডুমুরের ফুল = বিরল বস্তু।
  • ঠোঁট উল্টানো = বড় করা বা গর্ব করা।
  • ঠগ বাচতে গাঁ উজাড় = পরিমাণ নামে শুন্য বা আদর্শহীন তার প্রাচুর্য
  • ঠেক খাওয়া = বাধা পাওয়া।
  • ঠান্ডা লড়াই  =গোপনে বিরোধিতা।
  • ঠেলার নাম বাবাজি = চাপে পড়ে কাবু।
  • ঠাট বজায় রাখা = অভাব চাপা রাখ।
  • ঠোঁট ফুলানো = অভিমান করা।
  • ঠোঁট টেপা = মুখ বন্ধ রাখা।

ড দিয়ে বাগধারা 

  • ডুমুরের ফুল = বিরল বস্তু বা অদৃশ্য বস্তু।
  • ডাকে দেওয়া বর্ষে না = বেশি স্বর সারে কাজ হয় না।
  • বিনা মেঘে বজ্রপাত = আকর্ষিক বিপদ।
  • ডিমে রোগ = ছোটবেলা থেকেই রোগা।
  • ডানপিটে = কদুরন্ত বা দুঃসাহসিক।
  • ডাইনির কোলে ছেলে সোঁপা = ভক্ষককেই রক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া।
  • ডান হাতের ব্যাপার = ভোজন বা খাওয়া-দাওয়া। 
  • ডুবে ডুবে জল খাওয়া = গোপনে কাজ সিদ্ধি।
  • ডামাডোল = গোলযোগ।
  • ডুবে ডুবে জল খাওয়া = গোপনে গোপনে কাজ করা।
  • ড্যাব ড্যাব = আঁড় চোখে বড় বড় করে তাকানো।

ঢ দিয়ে বাগধারা

  • ঢেঁকি না কুলা = অন্ন সংস্থানের উপায় না থাকা।
  • ঢাকের কাঠি = তোষামদে।
  • ঢাকে কাঠি পড়া = শুরু হওয়া।
  • ঢ়েঁকে গোঁজা = আত্মসাৎ করা।
  • ঢাকা গুড়গুড় = গোপন রাখার প্রয়াস।
  • ঢিপির মাকাল = অকর্মন্য বা গুনহীন।
  • ঢাকে পড়ে যাওয়া = চারিদিকে প্রচার হওয়া।
  • ঢাক পেটানো = প্রচার করা।

ত দিয়ে বাগধারা

  • তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী বস্তু।
  • তেলের মাথায় তেল দেওয়া = সুবিধা ভোগীকে আরও সুবিধা করে দেওয়া।
  • তরজনে গর্জন সার = বেশি আয়োজনের ফল হয় না।
  • তামার বিষ = অর্থের কু প্রভাব।

দ দিয়ে বাগধারা 

  • দুধে মাছি = সু-সমের বন্ধু।
  • দু-মুখো সাপ = দৌত আচরণ।
  • দুধে ভাতে = সুখে থাকা।
  • দা কুমড়া = অত্যন্ত শত্রুতা।
  • দুধে আলতা = সুন্দর চেহারা।
  • দহরম মহরম = ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
  • দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা = আদর করে শত্রুকে লালন-পালন করা।

প দিয়ে বাগধারা 

  • পুটি মাছের প্রাণ = যা সহজেই মরে যায়।
  • পটল তোলা = মরে যাওয়া।
  • পাথরের পাঁচ কিল = সুখে থাকা।
  • পান থেকে চুন খসা = সামান্য ত্রুটি হওয়া।
  • পুকুর চুরি = বড় ধরনের ছুরি।
  • পালের গদা = দলপতি।
  • পগার পার হওয়া = পলায়ন করা।

ফ দিয়ে বাগধারা

  • ফিকির খোঁজা = উপায় বা সুযোগ বের করা।
  • ফেউ লাগা = পিছনে লেগে থাকা।
  • ফটোক বাজি = ধাপ্পাবাজি।
  • ফোঁড়ন কাটা = বিরক্তিকর কথাবার্তা বা টিপ্পুনি কাটা।
  • ফাঁটা কপাল = মন্দ ভাগ্য।
  • ফুলের গায়ে মুছা যাওয়া = সামান্য ব্যাথায় কাতর।
  • ফুল বাবু = সৌখিন বা বিলাসী লোক।
  • ফোর টুয়েন্টি = ফফর বাজি।
  • ফুক্কা যাওয়া= নিমিষেই শেষ।

ব দিয়ে বাগধারা 

  • বিসমিল্লায় গলদ = শুরুতেই ভুল।
  • বক ধার্মিক = ভন্ড সাধু।
  • ব্যাঙের সর্দি = অবাস্তব জিনিস।
  • বাঘে-মহিষে এক ঘাটে পানি খাওয়া = বিপদে পড়ে মিলেমিশে থাকা।
  • বিধির বিড়ম্বনা = অদৃষ্টের পরিহাস।
  • বামন হয়ে চাঁদে হাত = অসম্ভব কিছু পাওয়ার চেষ্টা।
  • বাঘের মাসি= আরাম প্রিয় লোক।
  • বর্ণচোরা = যে নিজেকে লুকায় বা কপটচারী।
  • বাড়া ভাতে চাই = আশা ভঙ্গ করা।
  • আকাশ কুসুম = অবাস্তব চিন্তা।
  • বুদ্ধির ঢেঁকি = নির্বোধ।
  • বজ্র আঁটুলি ফস্কো গিরো = বাহিরে অনাম্বড় ভিতরে শূন্য।
  • ব্যাঙের লাথি = নগণ্য লোক দ্বারা অপমান।
  • বিন্দু বিসর্গ= সামান্য কিছু।
  • বিধির বিরম্বনা = অদৃষ্টের পরিহাস।
  • বোঝার উপর শাকের আঁটি = অতিরিক্ত ভারের উপর বোঝা।

ভ দিয়ে বাগধারা

  • ভস্মে ঘি ঢালা = নিষ্ফল চেষ্টা।
  • ভিটেতে ঘুঘু চরানো = সর্বস্বান্ত করা।
  • ভুই পোড় = নতুন বা আবির্ভাব।
  • ভিজে বিড়াল = কিছু বোঝেনা এমন বা কপটচারি।
  • ভরাডুবি = সর্বনাশ।
  • ভূষণ্ডির কাক = দীর্ঘায়ু ব্যক্তি।
  • ভূতের বেগার = অযথাশ্রম।
  • ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ = অপব্যয় করা।

ম দিয়ে বাগধারা 

  • মুখে কুলুপ আটা = কথা বন্ধ করা।
  • মক্কার ফল = অন্তঃসারশূন্য বা বাহিরের চাকচিক্য।
  • মশা মারতে কামান দাগা = ছোট কাজে বিশাল আয়োজন।
  • মৌচাকে ঢিল মারা = বিপদ ডেকে আনা।
  • মনি হারা ফনী = মূল্যহীন।
  • মাছের তেলে মাছ ভাজা = কৌশলে কার্যসিদ্ধি।
  • মাথায় তোলা = বেশি প্রশ্রয় দেওয়া। 
  • মাছের মায়ের পুত্র শোক = চরম নির্মমতা।

য দিয়ে বাগধারা 

  • যক্ষের ধন = কৃপণে সম্পদ।
  • যখন তখন অবস্থা = যম যন্ত্রণা।
  • জমের অরুচি = সহজে  যন্ত্রণা।
  • যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয় = বিপদের আশঙ্কা।

র দিয়ে বাগধারা 

  • রাবণের চিতা = চির অশান্তি।
  • রাম দুলাই প্রচুর বিটুন।
  • রাঘব বোয়াল = বড় নেতা।
  • রক্তের অক্ষরে লেখা = সংগ্রামের কাহিনী।
  • রুই কাতলা = ক্ষমতাসীন ব্যক্তি।

ল দিয়ে বাগধারা

  • লম্ফ দেওয়া = পালালো।
  • লঘু পাপে গুরুদন্ড = সামান্য অপরাধে গুরুতর শাস্তি।
  • লগন চাঁদ= ভাগ্যবান।
  • চম্পট দেওয়া = পালানো 
  • লক্ষীর ভান্ডার = অফুরন্ত সম্পদ।
  • লেজকাটা = লজ্জাহীন।
  • লব ডঙ্গা = কিছু না।
  • লেফাফা দূরান্ত = বাহ্যিক পরিপাটি বা ফিটফাট।
  • লেজে পা পড়া = স্বার্থে টান লাগা।

স দিয়ে বাগধারা

  • সাপের পাঁচ পা দেখা = বিপদে পড়ে দিশেহারা।
  • সপে নেউলে = চরম শত্রুতা।
  • সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে = উভয় কূল বজায় রেখে চলা।
  • সোনায় সোহাগা = সুন্দর মিল।
  • সবে ধন নীলমণি = একমাত্র সন্তান।
  • সাত পাঁচ ভাবা = নানা রকম চিন্তা করা।
  • সুখের পায়রা = সুসময়ের বন্ধু।
  • সাত সতেরো = অপ্রয়োজনীয় কথা।

শ দিয়ে বাগধারা

  • শখের করাত = দুদিকেই বিপদ।
  • শুকুনি মামা = কুচক্রী লোক।
  • শ্রীঘর = জেলখানা।
  • শেয়ালের যুক্তি = অকেজো যুক্তি।
  • শাক দিয়ে মাছ ঢাকা = দোষ গোপনের বৃথা চেষ্টা।
  • শনির দশা = বিপদ বা দুঃসময়
  • শুনা কথা = ভিত্তিহীন কথা বা গুজব।
  • শুভঙ্করের ফাঁকি = কৌশলে কার্যসিদ্ধি।
  • শীরে সংক্রান্তি = আসন্ন বিপদ।

ষ দিয়ে বাগধারা

  • ষাঁড়ের গোঁ = প্রচন্ড জেদ।
  • ষোল আনা = পুরোপুরি।
  • গন্ডা মার্কা = দুর্বৃত্ত।
  • ষোল কড়িই কানা = সম্পূর্ণ বিনষ্ট।
  • ষাটের কোলে = অধিক বয়স।
  • ষত্ব - ণত্ব = কাণ্ড  জ্ঞান।

ন দিয়ে বাগধারা 

  • নয় ছয় = অপব্যয় বা অপচয় করা।
  • ন করা সো করা = হেরফের করা।
  • নটঘট বা নটঘটি = কেলেঙ্কারি করা।
  • নটঘট বা নটঘটি= গোলমাল।
  • নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করা = নিজের অনিষ্ট করে হলেও অন্যের ক্ষতি করা।
  • নাচতে নেমে ঘোমটা দেওয়া = বৃথা লজ্জা করা।
  • ননীর পুতুল = কাজ করে না এমন বা শ্রমবিমুখ।
  • নাকে তেল দিয়ে ঘুমানো = নিশ্চিন্তে থাকা।
  • নাক ডুবানো = গৌরব বিসর্জন দেওয়া।
  • নিজের ঢাক নিজেই পেটানো = আত্মপ্রকাশ করা।
  • নজর দেওয়া = কু-দৃষ্টি বা কুপ্রভাব।
  • ননদী ভুলি = কুকর্মের সাথী বা কুকর্মের সহযোগী।

হ দিয়ে বাগধারা 

  • হ য ব র ল ≠ বিশৃঙ্খলা।
  • হাতের পাঁচ = শেষ সম্বল।
  • হাতির পাঁচ পা দেখা = অহংকার বোধ করা।
  • হাত দিয়ে হাতে ঠেলা = দুঃসাধ্য কাজে চেষ্টা করা।
  • হাঁটে হাঁড়ি ভাঙ্গা = গোপন কথা প্রকাশ করা।
  • হাতে আকাশ পাওয়া = অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কিছু পাওয়া বা অভাবিত ভাবে কিছু পাওয়া।
  • হস্তি মূর্খ = বোকা।
  • হা-ঘরে  গৃহীন।
  • হাল ছাড়া = হতাশ হওয়া।
  • হাত জোড়া থাকা = কর্মব্যস্ত।
  • হাতির পাঁচ পা দেখা= দুঃসাহসী হাওয়া বা অহংকার বোধ করা।
  • হাতির খোরাক = যে বেশি পরিমাণে আহার করে।
  • হাল ছাড়া = হতাশ হওয়া।
  • হাড়ির হাল = মলিন।
  • হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা = সুযোগ নষ্ট করা।
  • হাতটান = চুরির অভ্যাস।
  • হাড় জুড়ানো = শান্তি পাওয়া।
  • হাড়ে দুর্ভাগুদানো = অত্যন্ত কুঁড়ে।
  • হরি ঘোঁষের গোয়াল = অনেক অপদার্থ লোকের সমাগম।
  • হামবড়া ভাব = অহংকার।
  • হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা = সুযোগ পেয়েও নষ্ট করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Shimul
    Shimul May 25, 2025 at 5:32 PM

    Great information

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url