বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় জেনে নিন
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় জেনে নিন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। আমরা সবাই শান্তি প্রিয় এবং শান্তি খুঁজি। আবার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসলেই এই শান্ত মানুষগুলোই হয়ে ওঠে অশান্ত! চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ে। এই শান্ত মানুষগুলোকে শান্ত রাখার জন্য বিদ্যুৎ বিল কমানোর কৌশল জানাতেই আজকের আর্টিকেলটি লেখা। বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো জানার জন্য আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন বিদ্যুৎ বিল কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে, বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য পরিবারের সকলের কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, গাছপালা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমাতে সহায়তা করে, বিদ্যুৎ বিল কমাতে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারসহ বিদ্যুৎ বিল সম্পর্কিত এ ধরনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সুচিপত্র
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায়
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় অবলম্বন করলে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। সংসারে বিভিন্ন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে মাসের শেষে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসলে পরিবারের কর্তা ব্যক্তির মন-মানসিকতা ভালো থাকে না। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল যেন না আসে সেজন্য নিম্নে কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। যেগুলো মেনে চললে বিদ্যুৎ বিল কমানোর সম্ভব।
- এলইডি বাল্ব ব্যবহার,
- নিয়মিত মিটার পরীক্ষা করা,
- প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার,
- প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা,
- স্মার্ট প্লাগ ব্যবহার,
- তাপ নিরোধক উপাদান ব্যবহার,
- সোলার হিটার ব্যবহার,
- অভ্যাসের পরিবর্তন,
- চার্জার ও অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রীর প্লাগ খুলে রাখুন,
- অপ্রয়োজনে ডিভাইস বন্ধ রাখুন,
- এডজাস্ট ফ্যান বন্ধ রাখুন,
- স্মার্ট হোম প্রযুক্তি ব্যবহার,
- এসি সার্ভিসিং করা,
- ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার,
- ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার। ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ বিল কমানোর উক্ত উপায়গুলো নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে ও পর্যায়ে কমে বর্ণনা করা হলো।
আরও পড়ুন ঃ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগের নিয়ম।
1.এলইডি বাল্ব ব্যবহার ঃবিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য বাসা বাড়িতে এলইডি বাল্ব অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার করতে হবে। এতে বিদ্যুৎ খরচ ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কমে যাবে।
2.নিয়মিত মিটার পরীক্ষা করুন ঃ নিয়মিত বিদ্যুতের মিটার পরীক্ষা করা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। আপনি যদি দেখেন যে দু-এক মাসের বিলের মিল পাচ্ছেন না। তাহলে মিটারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিলের কমবেশি হতে পারে। সেজন্য মিটার পরীক্ষা করুন প্রয়োজনে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন। বিদ্যুতের মিটারের ত্রুটির কারণেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ২০২৫।
3.প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার ঃবিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক লাইট দিনের বেলায় যথা সম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। এজন্য বাড়ি ঘরের জানালা দরজা দিনের বেলা খুলে দিয়ে প্রাকৃতিক আলোয় ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার করা হবে ও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
4.প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা ঃ বাসাবড়ির দরজা জানালা যথাসম্ভব খুলে রাখতে হবে, যাতে করে প্রাকৃতিক বায়ু নির্বিঘ্নে বাসা বাড়িতে চলাচল করতে পারে। এতে করে বৈদ্যুতিক ফ্যান কম চালাতে হবে ফলে বিদ্যুতের খরচ কমবে ও বিদ্যুৎ বিল কমবে।
5.স্মার্ট প্লাগ ব্যবহার ঃ বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য বাসা বাড়িসহ কলকারখানা গুলোতে স্মার্ট প্লাগ ব্যবহার করতে পারেন, যে প্লাগ গুলো অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয় ও চালু হয়। এতে করে এই প্লাগের সাথে সংযুক্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম অটো চালু হবে ও অটোমেটিক বন্ধ হবে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে।
আরও পড়ুন ঃ অনলাইনে বিকাশ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম।
6.তাপ নিরোধক উপাদান ব্যবহার ঃ বাসা বাড়িতে তাপমাত্রা কমানোর জন্য তাপ নিরোধক উপাদান (সেলুলোজ, ফ্রম ও ফাইবারগ্লাসসহ অন্যান্য উপাদান) ব্যবহার করুন। বিশেষ করে টিনসেট বাড়িগুলোর চালের নিচে, দেওয়ালে বা মেঝেতে তাপ নিরোধক উপাদান ব্যবহার করা যায় ফলে ঘরের তাপমাত্রা কম থাকে এবং এসি, এয়ার কুলার ও ফ্যান কম চালানোর প্রয়োজন হয়। এতে করে বিদ্যুৎ খরচ কমে যায়।
7.সোলার হিটার ব্যবহার ঃ শীতকালে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা বেশ কষ্টকর। সেজন্য অনেকেই শীতকালে পানি গরম করে ব্যবহার করে থাকেন। সেই জন্য সবাই বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করেন ফলে বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ বেশি আসে কিন্তু আপনি যদি সোলার হিটার ব্যবহার করেন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সোলার হিটারের কারণ বিদ্যুৎ খরচ কম হবে ও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
আরও পড়ুন ঃ রকেট একাউন্ট খোলার নিয়ম রকেট একাউন্ট দেখার নিয়ম।
8.অভ্যাসের পরিবর্তন ঃঅভ্যাসের পরিবর্তন বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। অনেকেরই বদ-অভ্যাস আছে, ঘর থেকে প্রয়োজনে বের হয়ে গেলেও বিদ্যুতের সুইচ (বাতি, ফ্যান, টিভি,এসি) বন্ধ না করে চলে যান। এতে করে অকারনেই বিদ্যুতের ব্যবহার চলতে থাকে ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয় ও বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়। সুতরাং বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করে বাসা বাড়ি থেকে বের হলে বিদ্যুতের সুইচ গুলো বন্ধ করে বের হতে হবে।
9.চার্জার ও অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রী প্লাগ খুলে রাখুন ঃ প্রয়োজনীয় সময় ব্যবহারের পর চার্জার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রীর সুইচ বন্ধ করে প্লাগ খুলে রাখতে হবে। অনেক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আছে যেগুলো স্ট্যান্ডবাই মুডে থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে ফলে বিদ্যুতের বিল বেশি আসে এজন্য ব্যবহারের পরে প্লাগগুলো খুলে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন ঃ লিথুনিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার নিয়ম জানুন।
10.অপ্রয়োজনে ডিভাইস বন্ধ রাখুন ঃ আমরা অনেকেই ব্যবহার শেষে অপ্রয়োজনে ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলো চালু রেখেই ঘুমিয়ে যাই। এতে করে বিদ্যুতের খরচ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে টিভি, ল্যাপটপ-কম্পিউটার ইত্যাদি। এই ডিভাইসগুলো সারা রাতে বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকে। এতে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায়। বর্তমানে স্মার্ট ডিভাইস গুলোতে টাইম সেট করে রাখা যায়। নির্দিষ্ট সময় পরে অটোমেটিক্যালি ডিভাইস গুলো বন্ধ হয়ে যায়।
11.এক্সজাস্ট ফ্যান বন্ধ রাখুন ঃঅনেকে রান্নাঘরে বা বাথরুমের এক্সজাস্ট বা নিষ্কাশন ফ্যান অল টাইম চালিয়ে রাখেন যা অপ্রয়োজনীয়। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সময়ে এই এক্সজাস্ট ফ্যানগুলো চালালে প্রয়োজন মিটে বিদ্যুৎ খরচ কমে ও বিদ্যুৎ বিল কম আসে। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে এই ফ্যানের সুইচগুলো বাথরুমের সুইচ ও রান্না ঘরের সুইচের সাথে অ্যাড করে দেয়া উচিত।
12.স্মার্ট হোম প্রযুক্তি ব্যবহার ঃ স্মার্ট হোম প্রযুক্তি ( যেমন - স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট, স্মার্টলাইট, স্মার্ট প্লাগ) ব্যবহার করে আপনি যদি কোন ডিভাইস বন্ধ করতে ভুলে যান তাও অনেক দূর থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। স্মার্ট হোম প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়।
13.এসি সার্ভিসিং করা ঃএকটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এসি সার্ভিসিং না করলে এসির বাতাস কমে যায় এবং এসিতে লোড বেশি লোড পড় ফলে বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যায়। সেজন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর এসি সার্ভিসিং করে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়। এসি ঘন ঘন বন্ধ ও চালু করা উচিত নয়। এসি চালিয়ে ঘর ঠান্ডা হলে কিছুক্ষণ পরে বন্ধ করা উচিত। এসির তাপমাত্রা সব সময় ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের উপরে রাখুন। ২৪ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায় এসি চালালে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।
14.ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার ঃ বিভিন্ন ওয়াশিং মেশিন বিশেষ করে ক্লোথ ওয়াশিং মেশিন ও ডিস ওয়াশিং মেশিনগুলো পূর্ণ লোডে চালানো উচিত। পুরনো রোডে এই মেশিনগুলো না চালালে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায় ফলে বিদ্যুৎ বিলও বেড়ে যায়।
15.ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার ঃফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর একটি ইলেকট্রিক যন্ত্র যা উচ্চ বিদ্যুৎ খরচে চলে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বন্ধ করে রাখুন। এতে করে আপনার ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর রেস্ট পাবে, ভালো থাকবে এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে যাবে।
গাছপালা বিদ্যুৎ বিল কমাতে সহায়তা করে
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটির উপরের অংশ পড়ে আমরা জেনেছি কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় সে সম্পর্কে। এখন আপনারা জানতে পারবেন গাছপালা কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমাতে সহায়তা করে সে সম্পর্কে। যত্রশত্রু ভাবে গাছ কাটার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বেড়ে যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। পরিবেশ থাকলে বাড়ির চারপাশে পাতা বহুল বিভিন্ন উদ্ভিদের গাছ লাগাতে হবে। এই গাছগুলো বড় হলে বাড়িতে ছায়া প্রদান করবে ফলে বাড়ি ঘর তাপমাত্রা বেশি হতে পারবে না। যার কারণে এসি, এয়ার কুলার ও ফ্যান কম চালাতে হবে এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
বৈদ্যুতিক সামগ্রী নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব বৈদ্যুতিক সামগ্রী নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করলে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমে সে সম্পর্কে। বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য নিয়মিতভাবে এই সামগ্রীগুলো সার্ভিসিং করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরী। বিশেষ করে রেফ্রিজারেটর, টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এসি ইত্যাদি ইলেকট্রিক যন্ত্রগুলোর তান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায় ফলে বিদ্যুৎ বিল বেশি হয়। সেজন্য এই পুরাতন সামগ্রী নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ বা সার্ভিসিং করতে হবে। প্রয়োজনে সামর্থ্য থাকলে নতুন প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে।
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি বিদ্যুৎ বিল কমানোর বিভিন্ন কৌশল গুলো। এখন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় সে সম্পর্কে। প্রাথমিক অবস্থায় সৌর বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করা ব্যববহুল মনে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এটি সাশ্রয়ী বলে বিবেচিত হয়। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে জাতীয় গ্রিলের বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হয় না। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিদ্যুতের ব্যবহার কমে যায় এবং বিল কম আসে। সৌর বিদ্যুতের আরেকটি উপকার হলো এটি পরিবেশবান্ধব ফলে পরিবেশের ক্ষতি করে না। অল্প জায়গায় বিশেষ করে সাদে, বারান্দায় বা ছোট কোন স্থানে স্থাপন করা যায়।
পুরানো যন্ত্র বা বৈদ্যুতিক তার ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বাড়ে
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব পুরোনো যন্ত্র বা বৈদ্যুতিক তার ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যায় সে সম্পর্কে। বাসা বাড়িতে ওয়ারিং করার সময় ভালো মানের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ১০-১৫ বছরের পুরনো ওয়ারিং খুলে নতুন ওয়ারিং করতে হবে। পুরানো যন্ত্র ও বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা সরঞ্জামদি সম্ভব হলে বাতিল করে নতুন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্র লাগাতে হবে। এতে করে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে ও বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করণ
বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার করে কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় সে সম্পর্কে। বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য বিভিন্ন উপায় উপরে আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বিভিন্ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য বাজারে পাওয়া যায় এই পণ্যগুলো নিতে হবে। যেমন - বাতির ক্ষেত্রে এলইডি বাতি, ফ্রিজ ও এসির ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসম্পন্ন হতে হবে। এই পণ্যগুলো ব্যবহারে বিদ্যুৎ কম হয় ফলে বিদ্যুৎ বিল কম আসে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকের আর্টিকেলটিতে বিদ্যুৎ বিল কমানোর ১৫ টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যেগুলো ব্যবহারিক জীবনে আপনাদের উপকারে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য পরিবারের সকলে মিলে উদ্যোগী হলে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব। আর্টিকেল কি সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে কমেন্টস বক্সে জানানোর অনুরোধ রইলো।
আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। আর্টিকেল শেয়ার করে দিন যেন অন্যান্য পাঠক বন্ধুরাও এ তথ্যগুলো জেনে বিদ্যুৎ বিল কমাতে উদ্যোগী হতে পারেন। বিদ্যুতের অপচয় রোধ করুন এবং বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন। আর্টিকেলে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্র ঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url