পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ২০২৫
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম জানাতেই আজকের আর্টিকেলটি লেখা। নতুন ঘর-বাড়ি, দোকানপাট, কলকারখানা কিংবা সেচ প্রকল্পের জন্য পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার ও সংযোগ নিতে অনেকেরই নানা রকমের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ভালো মানুষের লেবাজধারী কিছু দালালরা মিটার সংযোগ এনে দেবে বলে গ্রামের সহজ সরল সাদা মনের মানুষের কাছে থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এ সকল সমস্যা দূর করতেই অনলাইনে মিটার আবেদন করতে হয়।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন অফলাইনে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি মুক্ত হয়ে কিভাবে অনলাইন আবেদন করতে হবে? অর্থাৎ অনলাইন আবেদন করার নিয়ম, আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে? আবেদনের শর্তাবলী কি? আবেদন করতে কত টাকা লাগে? এ ধরনের পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যাবলী। চলুন জেনে নেয়া যাক পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার নিয়ম।
পেজ সুচিপত্র
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার সময় কিছু জিনিসপত্র প্রয়োজন হবে যেগুলো আগে থেকেই সংগ্রহে রাখতে হবে অথবা আপনার মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে স্ক্যান করে বিশেষ ফোল্ডারে সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও নতুন মিটার পাওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক কিছু শর্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও উক্ত শর্তগুলো পূরণ করে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করতে হবে। এই আবেদন করার জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্দেশিত বিভিন্ন কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট দাখিলের প্রয়োজন হয়। এই একই কাগজগুলো অফলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মিটার আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে জানার জন্য আপনারা অনেক সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন। এখানে পড়লেই আপনারা জানতে পারবেন পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে সেগুলো সম্পর্কে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্দেশিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট নিম্নরূপ।
- ১. আবেদনকারীর নাম।
- ২. আবেদনকারীর নিজস্ব মোবাইল নাম্বার।
- ৩. জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
- ৪. আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা ও যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিবেন সেখানকার ঠিকানা।
- ৫. সংযোগস্থলের জমির মালিকানার তথ্য (খতিয়ান নাম্বার ও দাগ নাম্বার) প্রদান করতে হবে।।
- ৬. যে ট্রান্সফরমার হতে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে চান, সে ট্রান্সফরমারের অধীনে আপনার পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের হিসাব নাম্বার এবং বই নাম্বার সংগ্রহ করে রাখতে হবে।
- ৭. সার্ভিস পোল থেকে সংযোগস্থলের দূরত্ব ১৩০ ফুটের কম বা বেশি কিনা তা মেপে ডাইরিতে লিখে রাখুন।
- ৮. গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি অথবা স্ক্যান করা ছবি সংরক্ষণ করুন যা আপনার হাউস ওয়্যারিং নিশ্চিত করেছেন এটি প্রমাণ করার জন্য দরকার হবে।
এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ থানায় লা গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি করার নিয়ম জেনে নিন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনের শর্তাবলী
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক কিছু শর্তাবলী আরোপ করা হয়ে থাকে। এই শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে ফিলাপ করার পরেই পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে হবে। এই শর্তাবলী অফলাইন বা অনলাইন যেভাবেই আবেদন করেন না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। এই শর্তাবলী জানার জন্য পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ওয়েব সাইটে গেলেও জানতে পারবেন। আবার আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়লেও জানতে পারবেন।গ্রাহকদের সুবিধার জন্য এই শর্তাবলী নিয়ে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলো।
- ১. আবেদন করার সময় আবেদনকারীর ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- ২.সংযোগস্থলের জমির মালিকানার তথ্য। এছাড়াও প্রমাণ হিসেবে দলিল বা খারিজের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
- ৩. যে পোল থেকে সংযোগ নিবেন অর্থাৎ সার্ভিস পোল থেকে আপনার সংযোগস্থলের দূরত্ব ভালো করে মেপে লিখে রাখুন। এই দূরত্ব ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। দূরত্ব সম্পর্কিত ভুল তথ্য দিলে সংযোগ পেতে দেরি হতে পারে।
- ৪. আবেদন করার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ঘর-বাড়ি বা হাউস ওয়ারিং করতে হবে। সোলার ইউনিট (প্রযোজ্য হলে) স্থাপন করতে হবে। এতথ্যগুলো অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে, অন্যথায় আবেদনটি অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
- ৫. মোট লোড ৮০ কিলোওয়াটের বেশি হলে এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।
- ৬. অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশিপ ফি ও নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এস এম এস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
- ৭. আবেদন ফরমের লাল তারকা (*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
- ৮. যোগাযোগের জন্য আবেদনপত্রে গ্রাহকের নিজস্ব ও সক্রিয় মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে।
- ৯. আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি ও পিন নাম্বার অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
- ১০. বিদ্যুৎ সংযোগ এর অর্থ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) অথবা ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল এ্যাপ (ট্যাপ) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
বি ঃ দ্র ঃ উল্লেখিত শর্তগুলো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত। সেজন্য এই শর্তগুলি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পরিবর্তন বা বর্ধন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
আরও পড়ুন ঃ মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক যে সকল শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়েছে সেই শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন করতে হবে। অনলাইনে এই আবেদন প্রক্রিয়াটির বিভিন্ন ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়। নিচের দিকে পড়ে জেনে নিন কিভাবে অনলাইনে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়।
প্রথম ধাপ ঃ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ নেয়ার জন্য প্রথমেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.rebpbs.com এ প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য উক্ত লিঙ্কে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পরে আবেদনের অফিসিয়াল পেজটি ওপেন হবে।
দ্বিতীয় ধাপ ঃ আবেদনকারী তথ্য প্রদান
অফিসিয়াল পেজটিতে প্রবেশ করলে আপনারা "আবেদন করুন" লেখাটি দেখতে পাবেন। আবেদন করুন লেখাটির উপর ক্লিক করলে আপনার সামনে আবেদন ফর্ম চলে আসবে। এই ফর্মের লাল রঙের তারকা (*) চিহ্নিত ঘরগুলো সঠিক তথ্য দিয়ে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। লিস্ট হতে প্রথমে আপনার এলাকা অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও জোনাল অফিস সিলেক্ট করুন।
আরও পড়ুন ঃ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গের নাম ও কাজ জেনে নিন।
একক ঘর-বাড়ি (আবাসিক) সংযোগের ট্যারিফ হিসেবে এলটি-এ সিলেক্ট করুন। যদি বহুতল ফ্ল্যাটের বাড়ি (আবাসিক) হয়ে থাকে তাহলে এমটি-এ সিলেক্ট করুন। এরপরে আবেদনকারীর বিবরণ অংশে আপনার ব্যক্তিগত প্রযোজ্য সঠিক তথ্যবলি প্রদান করতে হবে। তারকা (*) চিহ্নিত অংশগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে এবং যেখানে ইংরেজিতে লিখতে বলা হবে সেখানে ইংরেজিতেই লিখতে হবে।
তৃতীয় ধাপ ঃ স্থায়ী ঠিকানা ও প্রস্তাবিত সংযোগস্থলের সঠিক বিবরণ
স্থায়ী ঠিকানা ও প্রস্তাবিত স্থলের ঠিকানা সম্পর্কিত এই ধাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এটি পূরণ করার সময় আবেদনকারীর ন্যাশনাল আইডি (NID) কার্ডে প্রদত্ত স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। এরপরে যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিবেন তার তথ্যের বিবরণ সংযোগস্থলের বিবরণ বলে বিবেচিত হবে। সেজন্য এই ক্ষেত্রে সংযোগ স্থলের জমির যে দলিল প্রদান করা আছে সেই দলিলের ঠিকানা অনুযায়ী প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন ঃ তিতা খাবারের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
চতুর্থ ধাপ ঃ জিওগ্রাফিক, কানেকশন, লোর্ড এবং চাহিদাকৃত লোর্ডের সঠিক তথ্য পূরণ
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে জিওগ্রাফিক বা ভৌগোলিক বিবরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সংযোগস্থল থেকে সার্ভিস পোলের দূরত্ব সঠিক ভাবে মেপে তার তথ্য ইনপুট করতে হবে। এ দূরত্ব অবশ্যই ১৩০ ফুটের মধ্যে হতে হবে। যদি দূরত্ব পরিমাপে ভুল হয় তাহলে কেবল বা তার সংকটের সমস্যা দেখা দিতে পারে ও সংযোগ বিলম্ব হতে পারে। একই ট্রান্সফরমার আওতা অন্যান্য গ্রাহক যারা বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন তাদের বইয়ের নাম্বার, হিসাব নাম্বার, মিটার নাম্বার ও পোলের নাম্বার সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এরপরের অপশনে বিদ্যুৎ সংযোগটি স্থায়ী না অস্থায়ী তা নির্ধারণ করতে হবে। এর পরের অংশে আপনার বাসা-বাড়িতে বা দোকানপাটে যে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো সংযুক্ত থাকবে তার সংখ্যা নির্ধারণ করে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করনীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা।
পঞ্চম ধাপ ঃ ডকুমেন্ট আপলোড ও সম্মতি প্রদান
পল্লী বিদ্যুত মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট আপলোড ও সম্মতি প্রদান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে কি কি ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে সেগুলো জানার জন্য আপনারা google এ সার্চ করে থাকেন। আর্টিকেলের এই অংশটুকু পড়েই আপনারা জেনে নিতে পারবেন কি কি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্য অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে যে সকল কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট প্রদান করতে হবে তার একটি বিবরণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো এর সাথে সম্মতি প্রদানপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- গ্রাহকের সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ০২ কপি ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।
- স্থায়ী ঠিকানা।
- জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য খারিজের কপি।
- এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্দেশিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
এই ডকুমেন্টগুলো আপলোড করার ক্ষেত্রে ফর্মে উল্লেখিত সাইজে আবেদনের আগেই আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের একটি ফোল্ডারে সংরক্ষণ করুন। যাতে করে সহজেই এগুলো আপলোড করতে পারবেন। সবগুলো ঠিকমতো পূরণ করা হয়ে গেলে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু শর্ত রয়েছে যেগুলোর সাথে আপনি সম্মত বা একমত আছেন এই মর্মে পাসের রাখা খালি ঘরে টিক চিহ্ন দিন।
আবেদনপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার শেষ পর্যায়ে ফর্মটির সবগুলো তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনার সামনে ক্যাপচা পুরন করার জন্য ফর্ম আসবে। এটি পূরণ করে "সংরক্ষণ করুন" বাটনে ক্লিক করতে হবে। সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনাকে একটা ট্র্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার প্রদান করা হবে। এই নাম্বার দুইটি ডায়েরিতে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে। কেননা পরবর্তীতে আপনার আবেদনের অবস্থা বা সংশোধনসহ যেকোনো কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য এই ট্র্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার প্রয়োজন হবে। এইবার পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নিন।
হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইন আবেদন করার ক্ষেত্রে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাউস ওয়ারিং নিশ্চিত করুন পর্যায়ে আপনার বাসা-বাড়ি বা দোকানপাট যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিবেন তার ওয়াকিং সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে
- গ্রাউন্ড রোড ক্রয়ের মেমো বা রসিক।
- ট্র্যাকিং নাম্বার।
- পিন নাম্বার।
- এছাড়া প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী।
এরপরে ওয়েবসাইটের হোম পেজে মেনু বারের হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত করুন লিংকে ক্লিক করলেই আপনার সামনে যে পেজটি ওপেন হবে তার নির্দিষ্ট জায়গায় প্রথমে ট্র্যাকিং নাম্বার ও পরে পিন নাম্বার বসিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিতের তথ্য চাইবে। এর পরে হাউজ ওয়্যারিং নিশ্চিত হয়েছে সিলেক্ট করে মেমো বা রশিদের নাম্বারটি ইংরেজিতে লিখার পরে, গ্রাউন্ড রোড ক্রয়ের মেমো বা রশিদটি আপলোড করতে হবে। এর পরে বাড়ির ঠিকানা লিখে ক্যাপচা কোড করুন করে সম্পন্ন করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তথ্য পূরণে যদি কোন ভুল না থাকে তাহলে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত হয়েছে এরকম একটি মেসেজ পাবেন।
আবেদনের সংযোগ ফি পরিশোধ করুন
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে মিটার সংযোগ ফি পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্যাবলী অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রিয় পাঠক বৃন্দ আপনারা উপরের আলোচনায় আগেই জেনেছেন মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে সংযোগ ফি 'র টাকা দুইভাবে পরিশোধ করা যায়।
- সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে বা নির্ধারিত ব্যাংকে পরিশোধ করা যায়।
- মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
উল্লেখ্য যে সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে টাকা পরিশোধ করাই শ্রেয়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কত টাকা লাগে
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ফি প্রদান করতে হবে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফি হলো ১১৫ (একশত পনেরো) টাকা। অফলাইন বা অনলাইন যেভাবেই পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করেন না কেন আবেদন ফ্রি বাবদ এই ১১৫ (এক শত পনেরো) টাকা প্রদান করতে হবে।
আবেদনের বর্তমান অবস্থা অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পরে তাতে কোন সমস্যা আছে কিনা সেটি জানার জন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.rebpbs.com) 'র মেনু বারে "আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন" এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করে আপনার কাছে সংরক্ষিত ট্র্যাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বারটি ইনপুট করে "সাবমিট করুন" বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনি আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসা
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার ও সংযোগ সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন আপনারা google এ সার্চ করে থাকেন। যে প্রশ্নগুলো খুবই সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের কিছু সাধারণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে এ পর্বটি লেখা। নিচের দিকে পড়ে এ প্রশ্ন উত্তর গুলো জেনে নিন।
প্রশ্ন ঃ পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস পোল থেকে কত ফিট দূরত্বের মধ্যে নতুন সংযোগ পাওয়া যায়?
উত্তর ঃ পল্লী বিদ্যুতের সার্ভিস পোল থেকে ১৩০ ফিট দূরত্বের মধ্যে নতুন সংযোগ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ঃ পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার নিতে কত টাকা লাগে?
উত্তর ঃ পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার নিতে তিন ধাপে খরচ হয়,
- আবেদন করতে ফি বাবদ ১১৫ টাকা লাগে,
- সদস্য কি বাবদ ৫০ টকা,
- জামানত ফি বাবদ প্রতি কিলোওয়াটের জন্য ৪০০ টাকা (আবাসিক সংযোগ),
- জামানত ফি বাবদ প্রতি কিলোওয়াটের জন্য ৮০০ টাকা (বাণিজ্যিক সংযোগ)।
প্রশ্ন ঃ BREB কি সরকারি?
উত্তর ঃBREB (Bangladesh Rural Electrification Board. বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একটি সরকারি সংস্থা যা বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য কাজ করে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। আশা করি, তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। এরকম আরো আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। আর্টিকেল শেয়ার করে দিন যেন অন্যরাও তথ্যগুলো জানতে পারে। বিদ্যুতের অপচয় রোধ করুন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করুন। ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url