২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে জেনে নিন

২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে হবে জানার জন্য সকলেই বেশ উদগ্রীব। মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ২০২৬ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে পালিত হবে জানার জন্য গুগলে সার্চ করতে শুরু করেছেন। ইংরেজি ২০২৬ সাল হবে আরবী ১৪৪৭ ও ১৪৪৮ সাল মিলে।

২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে জেনে নিন
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন ২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে পালিত হবে? ঈদুল আজহার অর্থ, গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে। চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক। উক্ত তথ্যগুলো জানার জন্য সম্পুর্ন আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচীপত্র

২০২৬ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে 

 ২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে অনুষ্ঠিত হবে জানার জন্য এই অংশটুকু পড়ুন। ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মার জন্য বেশি ত্যাগ, তিতক্ষা ও উৎসর্গের ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল আজহার দিনটি হিজরী বছরের  জিলহজ (চন্দ্র মাসের) মাসের ১০ তারিখ নির্ধারিত। তবে এই দিনটির ইংরেজি তারিখ প্রতিবছরই হেরফের হয়। নিম্নে ২০২৬ সালে ঈদুল আজহার তারিখ উল্লেখ করা হলো।

  • ২০২৬ সালে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঃ ১৬ই মে, বুধবার, ২০২৬, (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)।
  • ১৪৪৭ হিজরী সনে ঈদুল আজহার তারিখ ঃ ১০ই জিলহজ, বুধবার, ১৪৪৭ অর্থাৎ জিলহজ  মাসের ১০ তারিখ। (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)।
আরও পড়ুন ঃ কোরবানির পশু কেমন হওয়া উচিত তা জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ঈদুল আজহার অর্থ, গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ কত তারিখে হবে এতথ্যটি আর্টিকেলের উপরের অংশ পড়ে আপনারা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটির এই অংশে ঈদুল আজহার অর্থ সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন। ঈদুল আজহা হচ্ছে মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পরে প্রিয় পশু কোরবানির মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। ঈদুল আজহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এই ঈদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ত্যাগ করা।

আরও পড়ুন ঃ ২০২৬ সালের রোজা কত তারিখে শুরু জানতে এখানে ক্লিক করুন।

ঈদুল আজহা, ঈদুল আযহা বা ঈদুল আদহা এর অর্থ হলো 'ত্যাগের উৎসব'। আঞ্চলিক ভাষায় বা চলিত ভাষায় এই ঈদ কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত, আবার এই ঈদকে ইদুজ্জোহাও বলা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের দিন ফজরের নামাজ আদায়ের পর ঈদগায় গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পরে নিজ নিজ আর্থিক সমর্থ্য অনুযায়ী দুম্বা, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করেন। সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোরবানির ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম।

উপসংহার

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি ২০২৬ সালে ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদ কত তারিখে এই সংক্রান্ত আর্টিকেলটি পড়ে এই তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এ ধরনের আরও আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন যেন অন্যান্য পাঠক বন্ধুরা জানতে পারেন।

ঈদুল আযহা যেমন ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল। প্রিয় জিনিসকে কোরবানি করা বা ত্যাগ করা বা উৎসর্গ করাকে আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন। পার্থিব জীবনে আমরা যেন সবাই একে অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে সবসময়  সহনশীলতায় উজ্জ্বল থাকি এই কামনায় আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url