আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী জেনে নিন

আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী সম্পর্কে জানানোর জন্যই  আজকের আর্টিকেলটি লেখা। আপনারা সব সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন আদর্শ স্ত্রীর গুণাবলী বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানার জন্য। পুরুষ শাসিত সমাজে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনারা একবারও ভেবে দেখেন না আদর্শ স্বামীর কি কি গুণাবলী থাকা দরকার। আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী জানার জন্য আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ুন।

আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন একজন আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী সম্পর্কে। একটা সংসারে সুখ-শান্তি আসে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ভালো বুঝা-পড়া ও সুসম্পর্কের মাধ্যমে। কোন কোন ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে ছোট করে আবার কোন কোন ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে ছোট করে কথা বলে যেটা উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সংসারে সুখ শান্তি বিরাজ করার জন্য একজন আদর্শ স্বামীর গুনাবলী বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।

পেজ সূচীপত্র

আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী 

আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী সম্পর্কে অনেকজন অনেক কথা বলে থাকেন। মূল কথা হলো স্বামী-স্ত্রীর সংসারে  নিয়মনীতির মধ্যে স্বামী যে কাজগুলো করলে স্ত্রী খুশি থাকেন এটাই হওয়া উচিত। এমন কিছু হওয়া উচিত নয় যে একে অপরের উপরে অসন্তুষ্ট থাকে। আদর্শ স্বামীর গুণাবলী নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  • আদর্শ স্বামী সবসময় দ্বীনদার ও চরিত্রবান হবেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীর সঙ্গে সবসময় বিনয়ী থাকবেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীর সামনে নিজেকে সবসময় পরিপাটি ভাবে উপস্থাপন করবেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীর দুঃখ-বেদনায় তাকে বুঝার চেষ্টা করবেন ও তাকে ভালবাসবেন।
  • একজন আদর্শ স্বামী তার স্ত্রীকে আগলে রাখবেন ও যত্ন নিবেন।
  • আদর্শ স্বামী সবসময় স্ত্রীকে মূল্যায়ন করবেন।
  • স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকিটাকি ঝগড়া-বিবাদ হতে পারে, সেটিকে দীর্ঘস্থায়ী না করে বরং অল্পসময়ের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য।
  • একজন আদর্শ স্বামী, স্ত্রীকে সাংসারিক কাজে সহায়তা করবেন।
  • স্ত্রী অসুস্থ হলে তার পাশে থাকবেন ও সেবা-যত্ন করবেন।
  • একজন আদর্শ স্বামী সব সময় স্ত্রীর ভুল না ধরে তাকে শুধরে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • একজন আদর্শ স্বামী পরিবারের সকল দায়িত্ব ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন।
  • বিপদে-আপদে অধৈর্য না হয়ে ধৈর্য ধরে পরিবারের সাথেই থাকবেন।
  • স্ত্রী-সন্তানের প্রতি সহানুভূতি ও সহনশীল থাকেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীকে পর্দায় রাখার নির্দেশ মেনে চলেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীর গোপনীয়তা বজায় রেখে চলেন, স্ত্রীর উপর অযথা রাগ করেন না এবং স্ত্রীর মন বোঝার চেষ্টা করেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রীকে অবহেলা করে না এবং স্ত্রীর প্রিয়জন ও পরিবারকে সম্মান করেন।
  • স্ত্রীর নামাজ, আমল ও আখলাকের ব্যাপারে যত্নবান থাকেন।
  • আদর্শ। স্বামী, সাংসারিক কাজে স্ত্রীকে ছোট করেন না বরং তাকে সবসময় উৎসাহিত ও সহযোগীতা করেন।
  • আদর্শ স্বামী, স্ত্রী কোন কিছু আবদার করলে সেটা সাধ্য অনুযায়ী পূর্ণ করার চেষ্টা করেন।
  • ধর্মীয় বিধি-বিধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে একজন আদর্শ স্বামী তার স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাবেন, পছন্দের জিনিস ও খাবার কিনে দিবেন।
  • আদর্শ স্বামী সদা-সর্বদা স্ত্রীর সাথে সদাচরণ করবেন।

উপসংহার

সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে, গুণধর স্বামী যদি থাকে তার সনে। কবির ভাষায় স্বামীদেরকে অবশ্যই গুণধর বা আদর্শ হতে হবে। স্বামী হলো নারী জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। একজন মেয়ে বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী যদি আদর্শ স্বামীর ভুমিকা পালন না করেন, তাহলে মেয়ের পক্ষে স্বামীর ঘরে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রত্যেক স্বামীকে আদর্শ স্বামীর মতো দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করা উচিত, যাতে করে সংসারে সুখ-শান্তি বিরাজ করে।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আশা করি আদর্শ স্বামীর বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আদর্শ স্বামীর গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরও আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন যেন অন্যান্য পাঠক বন্ধুরা এতথ্যগুলো জানতে পারেন। সব স্বামীই ভালো থাকুন, আদর্শ স্বামীর ভূমিকা পালন করুন। সকল স্বামীর পারিবারিক সুখ-শান্তি বজায় থাকুক এই কামনায় আজকের মত ইতি টানছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url