গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয় জেনে নিন
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয়? আজকের আর্টিকেলে এ বিষয়গুলো আমরা জানব। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোন বা সেলফোনে কথা বললে গাড়ি চালানোর মনোযোগ নষ্ট হয়। এতে করে দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ে। অনেক ড্রাইভার ভাইয়েরা গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলেন যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। একটু অসতর্কতার কারণে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা, হয়ে যেতে পারে অনেক প্রাণহানি।
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয়, এই বিষয়গুলো জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। গাড়ি চালানোর সময় যদি গুরুত্বপূর্ণ কোন ফোন আসে বা ফোনে কথা বলার প্রয়োজন হয় তাহলে গাড়ি নিরাপদ জায়গাতে দাঁড় করিয়ে কথা বলে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
পেজ সূচীপত্র
ফোনে কথা বললে রাস্তাঘাটে ঝুঁকি বাড়ে
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয় জানতে নিচের দিকে পড়ুন। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ থাকেনা, নিয়ন্ত্রণ বা মনোযোগ থাকে মোবাইলের দিকে। রাস্তাঘাটে প্রায় লক্ষ করা যায় ড্রাইভাররা এক হাতে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় মনোযোগ সহকারে গাড়ি চালাতে পারছেন না, বিধায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ এডিস মশা ও ডেঙ্গুরোগ প্রতিরোধে করণীয় কি
যে সমস্ত লোকজন মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় ভালো করে গাড়ি চালাচ্ছেন না তারা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে থাকছেন। আবার যারা ফোনে কথা না বলে ভাল করে গাড়ি চালাচ্ছেন তাদেরকেও ঝুকির মধ্যে ফেলছেন। তাই সবাইকে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ করে ভালকরে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে হবে। মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় গাড়ি চালালে যেসকল ঝুঁকিগুলো বাড়ে সেগুলো নিম্নরূপ।
- মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে পারে।
- পিছন থেকে ধাক্কা মারতে পারে।
- খাদে উল্টে পড়ে যেতে পারে।
- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি গাছে বা পোলে বা বারি-ঘরে ধাক্কা দিতে পারে।
- দুর্ঘটনায় পড়ে অঙ্গহানি হয়ে যেতে পারে।
- পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
- অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- এক্সিডেন্টের কারণে মানুষ মারা যেতে পারে।
মোটরসাইকেল চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে যে ক্ষতি
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয় দেখুন। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে চালকের ঝুকি বাড়ে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় অনেকে মোবাইল ফোনে কথা বলেন, যা উচিত নয়। মনে রাখবেন চালাকের হাতে মোবাইল ফোন দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সবার জীবন।
ইদানিং লক্ষ্য করা যায় অনেকেই মোবাইল ফোন হেলমেটের ফাঁকে কানের কাছে গুঁজে রেখে ফোনে কথা বলেন আর গাড়ি চালান। ফোনে কথা বলতে গিয়ে গাড়ি চালাতে মনোযোগ নষ্ট হয় এতে করে দুর্ঘটনার প্রবণতা অনেকগুণে বেড়ে যায়। বিশেষ করে টিনএজার ছেলেরা মোটরসাইকেল ড্রাইভ করেন আর ফোনে কথা বলেন বেশি।
এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে রাস্তায় গাড়ি দোল খাওয়ানো যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলা, গাড়ি দোল খাওয়ানো আর দ্রুত গতিতে ড্রাইভ করা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। সবাইকে একটি কথা মনে রাখতে হবে,
আরো পড়ুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালশিয়া।
কোনদিনই গন্তব্যে না পৌঁছানোর চাইতে দেরিতে হলেও গন্তব্যে পৌঁছানো ভাল। তাই সকলের উচিত গাড়ি চালানো অবস্থায় ফোনে কথা না বলে নিরাপদ গতিতে ও নিরাপদে ড্রাইভ করে গন্তব্যে পৌঁছানো। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা না বলে নিজে নিরাপদ থাকুন অন্যকে নিরাপদ রাখুন।
সকলকে সচেতন হতে হবে
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয় এই আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব সচেতনতা সম্পর্কে। গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। সকলকে সচেতন হতে হবে, যে যার অবস্থানে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমে এই ঝুকিগুলো কমানো যেতে পারে।
যেন ড্রাইভাররা গাড়ি চালানো অবস্থায় ফোনে কথা বলতে না পারে সে জন্য তাদেরকে সতর্ক করতে হবে। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের উচিত এ বিষয়গুলো আরো গুরুত্বের সাথে দেখভাল করা, যাতে করে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় গাড়ি চালাতে না পারে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমানো ১০ টি সহজ উপায়
মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় গাড়ি চালালে যে সকল ক্ষতিগুলো হয় তা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে কমানো সম্ভব। আসুন সকলে সম্মিলিতভাবে সচেতন হই, সতর্ক থাকি ও গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা না বলে গাড়ি ড্রাইভ করে নিরাপদ ভাবে সড়কে বা রাস্তায় চলাচল করি। সবাইকে মনে রাখতে হবে সেফটি ফাস্ট সেফটি মাস্ট।
প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয় এই আলোচনায় এখন আলোচনা করব প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে। গাড়ি চালানো অবস্থায় সেল ফোনে বা মোবাইলে কথা বললে যে সকল ক্ষতিগুলো হয় তা কমানোর জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থেকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ স্মার্টফোন কেনার সময় যে ১৩ টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
গাড়ি চালানো অবস্থায় ফোনে কথা না বলার জন্য ড্রাইভারদেরকে এর কুফল সম্পর্কে বুঝাতে হবে বা সচেতন করতে হবে। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকরা যেন ফোনে কথা বলতে না পারে সেজন্য যাত্রী - সাধারণনকে সচেতন থেকে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে হবে।
চালকদের জরিমানা ও শাস্তির বিধান করতে হবে
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয়, সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ড্রাইভারদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি জরিমানা বা শাস্তির বিধান করতে হবে। আমাদের দেশের সড়ক পরিবহন আইনগুলো যথাযথ প্রয়োগ হয় না, যে কারণে গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলে ও দুর্ঘটনা প্রবণতা বাড়ে।
আরো পড়ুনঃ আদর্শ চালকের কি কি গুণাবলী থাকা উচিত?
- চালকসহ সকলকে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।
- চালকদের জরিমানার বাবস্থা করতে হবে।
- ড্রাইভারদেরকে শাস্তির বাবস্থা করতে হবে।
- প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তৎক্ষণাৎ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
- প্রয়োজনে চালকদের লাইসেন্স বাতিলের বাবস্থা করতে হবে।
লেখকের কথা
গাড়ি চালানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বললে কি হয়, সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে এই আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছি। তাই সকল ড্রাইভার ভাইদেরকে অনুরোধ করছি নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে গাড়ি চলানো অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা না বলে নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য। চালকের একটি ভুল যাত্রীদের সারা জীবনের মাসুল।
এক্সিডেন্ট এর কারণে যে কেউ মারাত্মকভাবে আহত হতে পারেন ,পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, এমন কি মারা যেতে পারেন। তাই সকলের উচিত সতর্ক ও সচেতন থেকে মোবাইল ফোন ছাড়া ড্রাইভ করা।যে ছেলেটি ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে পারতো না পঙ্গু হয়ে এখন সে খুব স্লো মোশনে হুইল চেয়ার চালাতে পারে।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url