শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের নাম সময়সূচী ভাড়া ও টিকিট কাটার নিয়ম
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের নাম সময়সূচী ভাড়া ও টিকিট কাটার নিয়ম জানার জন্য আপনি গুগলে সার্চ করছেন! আপনাকে সঠিক তথ্যটি জানানোর জন্যই আজকের আর্টিকেলটি লেখা। শ্রীমঙ্গলের সাথে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেতু বন্ধন স্থাপন করেছে এই রেল লাইনটি।
আরামদায়কভাবে ও স্বাচ্ছন্দে ঢাকা যেতে ট্রেন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা যে ট্রেন চলে তার নাম, ট্রেনের সময়সূচী, ট্রেনের ভাড়া ও ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে।পেজ সুচীপত্র
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের নাম
আপনারা যেন সহজেই ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনের নাম জানতে পারেন সে জন্যই আজকের এ তথ্যগুলো। ট্রেনগুলোর নাম জানা থাকলে আপনি যে ট্রেনে যাবেন সেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে যেতে পারবেন। ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনগুলোর নাম হলো -
- পারাবত এক্সপ্রেস ৭৫৯,
- জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ৭১৭,
- উপবন এক্সপ্রেস ৭৩৯,
- কালনী এক্সপ্রেস ৭৭৩।
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
আপনি ট্রেন যোগে যেখানেই যেতে চান না কেন প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে কোন সময় যাবেন অর্থাৎ ট্রেনের সময়সূচি। একটা ট্রেন শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য যে সময়সূচি মেনটেন করে চলে সেটা জেনেই তার টিকিট বুকিং করতে হবে। নিম্নে ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনের সময়সূচী উল্লেখ করা হলো।
ট্রেনের নাম | হইতে | ছাড়ার সময় | যেখানে গন্তব্য | পৌঁছার সময় | ছুটির দিন |
পারাবত এক্সপ্রেস | শ্রীমঙ্গল | ১৭ঃ৫৫ | ঢাকা | ২২ঃ৪০ | মঙ্গলবার |
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস | শ্রীমঙ্গল | ১৩ঃ৩০ | ঢাকা | ১৮.২৫ | বৃহস্পতিবার |
উপবন এক্সপ্রেস | শ্রীমঙ্গল | ০২ঃ১২ | ঢাকা | ০৬ঃ৪৫ | ছুটি নাই |
কালনী এক্সপ্রেস | শ্রীমঙ্গল | ০৮ঃ২০ | ঢাকা | ১৩ঃ০০ | শুক্রবার |
আরও পড়ুন ঃ খুলনা টু রাজশাহী ট্রেনের নাম সময়সূচী ও ভাড়া জেনে নিন।
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের ভাড়া
প্রিয় যাত্রীগণ আপনারা অবগত আছেন যে, রেল পথের দূরত্ব, এসি, নন এসি বা সাধারণ বগির আসন ও বিরতির স্টেশনের উপর ভিত্তি করে ট্রেনের ভাড়া কম-বেশি হয়ে থাকে। শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের ভাড়ার তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
আসন বিভাগ | ভাড়া প্রতি সিটের জন্য |
এসি বার্থ | ৯৩৮/- টাকা |
এসি | ৬২৭/- টাকা |
স্নিগ্ধা | ৫২৮/- টাকা |
প্রথম শ্রেণীর আসন | ৪২০/- টাকা |
শোভন চেয়ার | ২৭৫/- টাকা |
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের স্টপেজের নামসমূহ
শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় ট্রেনগুলো যে যে স্টেশনে বিরতি দেয় সেই স্টেশনগুলোর নাম নিম্নে প্রদান করা হলো।
- শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু,
- শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন,
- নোয়াপাড়া স্টেশন,
- মনতলা স্টেশন,
- হারিসপুর স্টেশন,
- আজিমনগর স্টেশন,
- বি-বাড়িয়া স্টেশন,
- ভৈরব বাজার স্টেশন,
- নরসিংদী স্টেশন,
- বিমানবন্দর স্টেশন,
- কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা যাত্রা শেষ।
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম সম্পর্কে এখানে পড়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠা এক ধরনের বোকামি। যেকোনো সময় টিটি এসে আপনাকে চেক করলে বিপদে পড়ে যেতে পারেন। আক্কেল সেলামি দিতে হতে পারে, হয়ে যেতে পারে জেল-জরিমানার মতো সাজা। সেজন্য যেকোন ধরনের সাজার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য টিকিট কেটে ট্রেনে ভ্রমণ করুন।
ট্রেনের টিকিট দুইভাবে সংগ্রহ করা যেতে পারে। এক স্টেশনে উপস্থিত হয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে নিতে পারেন অথবা বাংলাদেশ রেলসেবা অ্যাপস ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে নিরাপদে ঢাকা টু শ্রীমঙ্গল ট্রেনের টিকিট কেটে নিতে পারেন। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা রেল পথের দূরত্ব কত
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা যাওয়ার সময় অনেকেই মনে করেন স্বাচ্ছন্দ্যে, নিরাপদে ও অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য দূরত্ব একটি ফ্যাক্টর। শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা রেলওয়ে লাইনটি সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলাকে সংযুক্ত করে স্থাপন করা হয়েছে। এই সবগুলো জেলাকে সংযুক্ত করে স্থাপন করার কারণে এর দূরত্ব একটু বেশি মনে হতে পারে। দূরত্ব একটু বেশি মনে হলেও এই সকল জেলার লোকজন রেলসেবার সুবিধা ভোগ করে থাকেন। রেলপথে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন ঃ রাজশাহী টু ঢাকা ট্রেনের নাম সময়সূচী ভাড়া ও টিকিট কাটার নিয়ম জেনে নিন।
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনে যেতে কত সময় লাগে
অনেক যাত্রী আছেন যারা বেশি সময় ধরে জার্নি করাটা পছন্দ করেন না, আবার অনেকে আছেন বেশি সময় ধরে জার্নি করলে বেশি আনন্দ উপভোগ করেন। সেজন্য যাত্রার সময়টা স্ট্যান্ডার্ড হলে সকলের জন্যই ভালো হয়। বেশি সময় ধরে জার্নি করলে ট্রায়াডনেস ও বোরিং লাগে। বাংলাদেশের রেলওয়ে লাইন, দূরত্ব, বিরতির স্টেশন এবং ট্রেনের গতিবেগ সবকিছু বিবেচনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ট্রেন যাত্রার সময় নির্ধারণ করেছেন ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট অর্থাৎ একটি ট্রেন শ্রীমঙ্গল থেকে ছাড়লে চার ঘন্টা ১০ মিনিটের মধ্যে ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন ঃ ঢাকা টু রংপুর ট্রেনের নাম সময়সূচী ভাড়ার তালিকা
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা
শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেন চলাচল সম্পর্কে অনেক সাধারন প্রশ্ন গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনারা যারা আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়েছেন তারা এরকম অনেক প্রশ্ন-উত্তর পেয়ে গেছেন। আরও কিছু প্রশ্ন-উত্তর যেন আপনারা সহজেই পেয়ে যান সেজন্যই এ পর্বটি লেখা। শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা রুটের ট্রেন চলাচল সম্পর্কে আরো কিছু সাধারন প্রশ্ন-উত্তর নিম্নে প্রদান করা হলো।
প্রশ্ন ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের টিকিট কিভাবে কাটতে হয়?
উত্তর ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের টিকেট স্টেশনে উপস্থিত হয়ে কাউন্টার থেকে কাটতে পারবেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমেও কাটতে পারবেন।
প্রশ্ন ঃ ট্রেনে শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা যেতে কত সময় লাগে?
উত্তর ঃ ট্রেনে শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা যেতে ৪ ঘন্টা ১০ মিনিট সময় লাগে।
প্রশ্ন ঃ রেলপথে শ্রীমঙ্গল টু ঢাকার দূরত্ব কত?
উত্তর ঃ রেলপথে শ্রীমঙ্গল টু ঢাকার দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার।
প্রশ্ন ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়?
উত্তর ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট অনলাইনে ৫-৬ দিন আগে কাটা যায়।
প্রশ্ন ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের নরমাল টিকিটের ভাড়া কত?
উত্তর ঃ শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা ট্রেনের নরমাল টিকিটের ভাড়া ২৭৫ টাকা।
উপসংহার
আশা করি, শ্রীমঙ্গল টু ঢাকা রুটের ট্রেন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন ও উপকৃত হয়েছেন। এরকম আরও আপডেট তথ্য পাওয়ার জন্য চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন আর আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন যেন অন্যেরাও এতথ্যগুলো জানতে পারেন।
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন যে, আনন্দময় ও মনোমুগ্ধকর জার্নি হলো ট্রেন জার্নি। সব ধরনের জার্নিতে সবসময় সচেতন ও সতর্ক থাকবেন। অন্যের দেওয়া কিছু খাবেন না। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url