যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। গর্ভাবস্থা বা গর্ভকালীন সময় প্রত্যেক নারীর জীবনে খুবই সেনসিটিভ ও আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত সময়। এই সময় সকল গর্ভবতী মাদেরকেই এমন সব খাবার ও পানীয় দেয়া উচিত যেগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি উপকরণ থাকে এবং গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য উপকারি।
আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন এমন সব পানীয় বা জুস সম্পর্কে, যেগুলো গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়ের জন্য খুব উপকারী। এই পানীয়গুলো খেলে শরীরে পুষ্টি পুরনের পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের বিভিন্ন শারীরিক গঠনে সহায়তা করবে। আরও জানতে পারবেন গর্ভবতী মায়ের ও শিশুর ক্ষতি করে এমন পানীয় সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই সেই সব পানীয় বা জুস সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্র
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
গর্ভাবস্থায় একজন নারী জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কুশিয়ার সময়। এ সময় গর্ভবতী মা তাঁর গর্ভের শিশুর জন্য সব সময় উদ্বিগ্ন থাকেন। এতে করে অনেকেই সঠিক খাবার-দাবার খেতে পারেন না। সেজন্য এ সময়ে এমন কিছু পানীয় বা জুস খাওয়া উচিত যেগুলো গর্ভবতী মা ও গর্ভে শিশুর জন্য উপকারী। গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য উপকারী কিছু পানীয় বা জুসের নাম ও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- কমলার জুস,
- গাজরের জুস,
- স্যুপ,
- দুধ,
- টাটকা ফলের রস,
- স্ট্রবেরির জুস,
- বাটার মিল্ক,
- শাক-সবজির জুস,
- লেবুর জুস,
- আঙ্গুরের জুস,
- পরিষ্কার পানি,
- ডাবের পানি,
- আপেলের জুস,
- জিরাপানি। ইত্যাদি
১.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি কমলার জুস
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি এ শিরোনামটি আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর জন্য কমলার জুস উপকারী সে সম্পর্কে। ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস হলো কমলা। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই কমলার জুস খেলে গর্ভবতী মা সাধারণ ফ্লু, সর্দি, কাশি ও জ্বর থেকে মুক্তি পায় শিশুর শারীরিক গঠনে সহায়তা করে।
২.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি গাজরের জুস
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি এই শিরোনামটি আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য গাজরের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে। শরীরের টক্সিক পদার্থ বের করতে সহায়তা করে গাজরের জুস।
আরও পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে করণীয় বর্জনীয় ও নির্দেশিকা
গাজরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড ও বিভিন্ন মিনারেলস। যেগুলো খেলে গর্ভবতী মায়ের উপকারের পাশাপাশি গর্ভের সন্তানের শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। বিশেষ করে চোখের জ্যোতি বাড়াতে খুবই সহায়ক গাজরের জুস।
৩.স্যুপ গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি এ সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব স্যুপ খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভের বাচ্চার কি ধরনের উপকার করে সে সম্পর্কে। অনেক গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না। ফলে তাদের পুষ্টির অপূর্ণতা রয়ে যায়।
আরও পড়ুন ঃ বদহজম বা পেট ফাঁপা দূর করার সহজ ১৪ টি ঘরোয়া উপায়
এই পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টাটকা শাকসবজি দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। এই জাতীয় স্যুপ গর্ভবতীর জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে ব্রোকলি, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো ও গাজর দিয়ে এ ধরনের স্যুপ তৈরি করা যায়। এই সুখগুলো খুব সহজেই গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।
৪.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি দুধ পান করুন
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি সে সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য দুধ উপকারি সে সম্পর্কে। দুধে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম গর্ভের শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস হলো দুধ দুধ। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য অর্থাৎ দুধে সব ধরনের ভিটামিন আনুপাতিক হারে রয়েছে। ক্যালসিয়াম গর্ভবতী মায়ের উপকারের পাশাপাশি গর্ভের শিশুর কঙ্কালতন্ত্রের গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সেজন্য দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের খাওয়া উচিত।
৫.টাটকা ফলের রস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি এ সম্পর্কেত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব টাটকা ফলের রস গর্ভবতী মা ও গর্ভের সন্তানের জন্য উপকারী সে সম্পর্কে। বিভিন্ন রকমের টাটকা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
আরও পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়া নিরাপদ কি না এবং উপকারিতা ও অপকারিতা।
যেগুলো গর্ভবতী মা ও গর্ভের বাচ্চার শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। টাটকা ফলের রসে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গর্ভবতী মায়ের শারীরিক সুস্থতা আনার পাশাপাশি গর্ভৈর সন্তানের দৈহিক গঠনের সহায়তা করে।
৬.স্ট্রবেরির জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি সে সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো স্ট্রবেরির জুস খেলে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশু উভয়েই ভালো থাকে সে সম্পর্কে। স্ট্রবেরির জুসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়াটোরি ফাইবার ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
আরও পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খাওয়া নিরাপদ কি না।
এই পুষ্টি উপাদানগুলো গর্ভবতী মায়ের ও গর্ভের বাচ্চা ত্বকের উপকার করে। এছাড়াও এতে বিদ্যমান বিভিন্ন মিনারেলস গুলো গর্ভবতী মার উপকারের পাশাপাশি গর্ভের বাচ্চার শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। এই ফলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রাশবেরি, ব্লুবেরি, কালোজাম ইত্যাদি
৭.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি বাটার মিল্ক
বাটার মিল্ক বা ঘোল গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী। গর্ভবতী মাদের এসিডিটি বেড়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়, শরীর কড়া হয়ে যায়। এ অবস্থায় বাটার মিল্ক বা ঘোল খেলে শরীর ঠান্ডা হয়, এসিডিটি কমে যায়। গর্ভবতী মাদের হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে বাটার মিল্ক। এছাড়াও বাটার মিল্ক বা গোল অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে। এই পানীয় খেলে শরীরে তরল ও লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এতে করে গর্ভে বাচ্চা সুস্থ থাকে।
আরও পড়ুন ঃ গর্ভে বাচ্চার সুস্থতা ও ত্রুটি কিভাবে বুঝবেন।
৮.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি শাক-সবজির জুস
শাক-সবজির জুস একজন গর্ভবতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি, প্রোটিন, শর্করা, খনিজ ও ভিটামিনের অভাব পুরনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অনেক গর্ভবতী মায়েরাই গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন না, নানান শারীরিক সমস্যার কারণে।
গর্ভকালীন সময়ের এই অবস্থায় পুষ্টির অভাব পূরণে সহায়তা করে শাক সবজির জুস। এই ক্ষেত্রে শাক-সবজির মধ্যে থেকে বেছে নিতে পারেন বিটরুট, শসা, পালংশাক, গাজর, টমেটো ও অন্যান্য টাটকা শাক-সবজি।
৯.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি লেবুর জুস
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি সে সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব লেবুর জুস গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী সে সম্পর্কে। লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। লেবুর জুস বা লেবুর রস মিশ্রিত পানি গর্ভবতী মাদের জন্য অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয়। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশ্রিত করে তার সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গর্ভবতী মাদের জন্য খুবই উপকার হয়। এই জুস গর্ভবতী মাদের মর্নিং সিকনেস, বমি বমি ভাব দূর করে এবং মুখের রুচি বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এই ভিটামিন সি গুলো ফ্লু জাতীয় রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। লেবুর জুস খেলে দুর্বলতা কেটে যায়। শরীর ও মন সতস থাকে।
১০.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি আঙ্গুরের জুস
আঙ্গুরের জুস একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারি পানীয়। এই জুসে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিনারেলস, এ্যন্ট্রিঅক্সিডেন্ট, বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের মাথাব্যথা, চুল পড়া ও ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে। এ অবস্থায় আঙ্গুলের জুস পরিমাণমতো খেলে এই সমস্যাগুলো দূর হয় ও গর্ভস্থ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ভালো হয়। সেজন্য প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের নিয়মিত আঙ্গুরের জুস খাওয়া উচিত।
১১.পানি পান করুন
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পানি পান করা অপরিহার্য। আমাদের শরীরে তরল পদার্থের অর্থাৎ রক্তে প্রায় সত্তর থেকে পঁচাত্তর শতাংশ পানি। কাজেই বুঝতেই পারছেন পানির গুরুত্ব কতটা মানব শরীরে। বলা হয় পানির অপর নাম জীবন। পানি খেলে শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করে,ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালেন্স ঠিক থাকে, হরমোনের ক্রিয়াকলাপ ঠিক থাকে। বিভিন্ন টক্সিন জাতীয় পদার্থ শরীর থেকে বের করতে সহায়তা করে এই পানি। এক কথায় পানি ছাড়া প্রাণী জীবন অচল। সেজন্য গর্ভবতী মাদের ও গর্ভের শিশুর সুস্থতার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও শরীর-মন সতেজ থাকে।
১২.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি ডাবের পানি
যে ১৪ রকম পানীয় বা জুস গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি সে সম্পর্কিত আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করবো ডাবের পানি গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুর জন্য উপকারী সে সম্পর্কে। ডাবের পানি হল পুষ্টি সমৃদ্ধ ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সংমিশ্রণে সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি। ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে ডাবের পানি বিভিন্ন ইলেকট্রোলাইটসের সমন্বয় করে ও গর্ভের বাচ্চার বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে। ডাবের পানি গর্ভবতী মায়ের শরীর ঠান্ডা রাখতেও বেশ উপকারী।
১৩.গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি আপেলের জুস
আপেলের জুস গর্ভবতী মাদের জন্য যথেষ্ট উপকারী। এই জুসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ডায়াটরি ফাইবার, মিনারেলস ও ভিটামিন। যে উপাদানগুলো একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই দরকারি। গর্ভবতী মায়ের ক্যালসিয়াম ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি বাচ্চার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দুধগুলো খেলে বাচ্চার ওজনও ঠিক থাকে।
১৪.জিরাপানি গর্ভাবতী মা ও শিশুর জন্য খুব উপকারি
জিরাপানি গর্ভাবস্থার জন্য খুবই উপকারি ও রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যে সমস্ত গর্ভবতী মদের বমির ভাব হয়, খেতে পারেন না। তারা খাওয়ার আগে অল্প একটু জিরাপানি খেয়ে নিলে বমির ভাব দূর হয় ও মুখে রুচি আসে। অবশ্যই এ জিরাপানি বাসায় তৈরি করে নিবেন। বাজারের কেনাটা খাবেন না। জিরাপানির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে অল্প পরিমাণে টক, ঝাল ও লবণ মেশাতে পারেন। এই জিরাপানি শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক বৃন্দ, একটি নারীর জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন, ক্রিটিক্যাল ও সেনসিটিভ মুহুর্ত হলো পুরো গর্ভকালীন সময়। এই সময় গর্ভবতী মাদেরকে বাড়তি যত্নের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিতে হয়। এই খাবারের তালিকায় যোগ হতে হবে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিভিন্ন জুস আইটেম।
গর্ভবতী মায়ের যত্ন নেওয়া মানেই তার গর্ভে সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা। গর্ভবতী মায়ের পুষ্টির অভাব হলে জন্ম নিতে পারে দুটি যুক্ত, মস্তিষ্ক বিকৃত ও লো বার্থ ওয়েটের শিশু। যা সারা জীবনের জন্য আনন্দের পরিবর্তে দুঃখ। তাই গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করুন গর্ভের শিশুকে সুরক্ষিত রাখুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url