অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক
লবণ কি বা লবণ কাকে বলে
আরো পড়ুন ঃ ফেক্সো ১২০ এর কাজ খাওয়ার নিয়ম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দাম ও সর্তকতা।
- নৃণ,
- নুন,
- নিমক,
- লবণ,
- লবন,
- লোনা,
- খাবার লবন,
- টেবিল সল্ট,
- খনিজ লবণ,
- হ্যুলাইট, ইত্যাদি।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক
- ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়,
- পাকস্থলীতে ক্যান্সার হয়,
- অস্টিওপোরোসিস হয়,
- হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়,
- শরীরের পানি ধরে রাখে,
- ডায়াবেটিস বেড়ে যায়,
- মাথা ব্যথা বেড়ে যায়,
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,
- চোখের সমস্যা দেখা দেয়,
- ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়,
- ইউরিনে সমস্যা হয়,
- গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়,
- শরীরের স্থূলতা বা ওজন বেড়ে যায়,
- রক্ত সঞ্চালনে বাধা পায়,
- শরীর ফুলে যায়। ইত্যাদি।
ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্ত চাপ বাড়ে সে সম্পর্কে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, অতিরিক্ত লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে, ফলে ব্লাড প্রেসার বাড়ে। বেশি লবন খাওয়ার কারণে ঔষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে এবং প্রেসার অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ ঢেঁকি চাটা লাল চাল এর পুষ্টিগুণ উপকারিতা।
পাকস্থলীতে ক্যান্সার হতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব বেশি পরিমাণে লবণ খেলে পাকস্থলীতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে এই লবণের কারণে পাকস্থলীর গাত্রে এক ধরনের আলসার বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়।এই ক্ষত বা আলসারর পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে ফলে পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিঃ লক্ষণ কারণ প্রতিকার ও চিকিৎসা
অস্টিওপোরোসিস হতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত লবণ তথা সোডিয়াম হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণ কমিয়ে দেয়। এই ক্যালসিয়ামগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং হাড়গুলোকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে ফেলে। যার কারণে হাড়গুলোতে দিনে দিনে অস্টিওপোরোসিস হতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ মাটির পাত্রে পানি রেখে পান করলে মিলবে ১৪ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা।
হার্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব অতিরিক্ত লবণ খেলে হার্টের সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে।
অতিরিক্ত লবণ রক্তের ঘনত্ব বাড়ায়, শরীরে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে। ব্লাডের ঘনত্ব বেশির কারণে হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শরীরে পানি ধরে রাখে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব বেশি পরিমাণে লবণ খেলে শরীরে পানি ধরে রাখে সে সম্পর্কে। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে এই লবণগুলো শরীরের খসে খসে পানি ধরে রাখতে সহায়তা করে, ফলে শরীর ফুলে যায় এবং ফুলা ফুলা ভাব মনে হয়। সে জন্য অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করুন শরীর সুস্থ রাখুন।
ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব মাত্রাতিরিক্ত লবণ সেবনে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে। ডায়াবেটিস বাড়ার মূল কালপিট হল সুগার বা গ্লুকোজ বা শর্করা! বেশি পরিমাণে লবণ খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন ঃ চিনি মানুষের শরীরে যে ১২ টি ক্ষতি করে।
মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় এখন আমরা আলোচনা করব লবণ বেশি খেলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে। অতিরিক্ত সোডিয়াম ও গ্রহণের ফলে ক্যালসিয়াম শোষণ ব্যহত হয়ে যেতে পারে পরে ফলে মাথা ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায় এবং রোগ প্রত প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ বেড়ে যেতে পারে।
ইউরিনে সমস্যা হতে পারে
অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম গ্রহণের ফলে ইউরিনের বা মূত্রের সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কারনে মূত্রের ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে, মূত্রথলিতে পাথর হতে পারে, মূত্রনালীর ইনফেকশন হতে পারে এমনকি কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে।
ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খেলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই লবণগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে আসে। ফলে অ্যালার্জি হতে পারে, ত্বকে দাউদ বা রেস হতে পারে এমনকি একজিমার মতো রোগ হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খেলে এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে ফলে পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার হতে পারে। অতিরিক্ত লবণ কাপ পরিহার করুন শরীর সুস্থ রাখুন
শরীরের স্থূলতা বেড়ে যেতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে শরীরের স্থূলতা বেড়ে যেতে পারে অর্থাৎ শরীর মোটা হয়ে যেতে পারে। শরীর শুস্ক হয়ে যেতে পারে, অ্যাজমা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সর্বোপরি স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
লবণ কম খাওয়া কি ক্ষতিকর
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ১ ৬টি ক্ষতিকর দিক আলোচনায় আমরা এখন আলোচনা করব লবণ কম খেলে শরীরের কি ধরনের ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। লবণ শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে লবণ কম খাওয়া ক্ষতিকর। সংস্থাটির মতে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে লবণ কম খেলে দেহের নিম্নোক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে ব্যাহত হয়, এমনকি মৃত্যু ঝুঁকিও থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় লবণ কম খেলে -
- শরীরের ইলেকট্রোলাইটসের ব্যালেন্স ঠিক থাকে না,
- স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে ব্যহত হয়,
- পেশির-সংকোচন প্রসারণ ব্যহত হয়,
- কোষে প্লাজমার ঘনত্ব ঠিক থাকে না,
- দেহের অ্যালকালির মাত্রা বজায় থাকে না,
- কোষের সঠিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়,
- দেহে পানির সমতা বজায় থাকে না।
যে সকল খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে
- পিজা,
- মশলা বা লবণ দেওয়া বাদাম,
- বিভিন্ন প্যাকেট জাত খাবার,
- সস,সসেজ,
- রুটি,
- কেচাপ,
- হোটেল রেস্তোরাঁ বা ক্যাফের খাবার,
- সয়াসস,
- স্যুপ,
- ফাস্টফুড,
- টিপস,
- কুকিজ,
- ডিম,
- ডিম ভাজি,
- অমলেট,
- সলটেড বিস্কুট,
- টেস্টিং সল্ট। ইত্যাদি।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমাতে কি করা উচিত
অতিরিক লবণ খাওয়া কমানো খুবই জরুরি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শুধুমাত্র মুখের স্বাদ এতে বাড়তি কোনো উপকার হয় না। পুষ্টিবিদ তাসনিম বলেন অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমানোর জন্য আমাদের সকলকেই প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়া জাত মুখরোচক খাবার পরিহার করতে হবে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমানোর জন্য বিভিন্ন পুষ্টিবিজ্ঞানী ও যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক কিছু পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ।
- বাসায় রান্না করার সতেজ খাবার খেতে হবে, যে খাবারে ইচ্ছামতো লবণের পরিমাণ কমানো যায়।
- সকল প্যাকেট জাত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
- খাবারের টেবিলে লবণ রাখা যাবে না।
- বাদাম, চিপস বা এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়ার সময় লবণ পরিহার করতে হবে।
- খাবারে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্যসম্মত মসলা (মরিচ, গোল মরিচ, রসুন, লেবুর রস ইত্যাদি) ব্যবহার করে লবণের ব্যবহার কমাতে হয়।
- ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, চিপস, পাউরুটি ইত্যাদি দিনে দিনে লবণ ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
- নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে পাতে লবণ খাওয়া পরিহার করুন।
দৈনিক কতটুকু লবণ খাওয়া উচিত
- ১ থেকে ৩ বছর - ২ গ্রাম প্রতিদিন,
- ৪ থেকে ৬ বছর - ৩ গ্রাম প্রতিদিন,
- ৭ থেকে ১০ বছর - ৫ গ্রাম প্রতিদিন,
- ১১ বছর থেকে প্রাপ্তবয়স্ক - ৫ গ্রাম প্রতিদিন বা ১ চা চামচের একটু কম,
- ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের - ১ গ্রামের কম প্রতিদিন।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url