ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে ভালো মত জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পুরোপুরি পড়ুন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ড্রাগন ফল একটু পরিচিত নাম। একটা সময় ছিল যখন ড্রাগন ফল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো।
অনেক আগে থেকেই ড্রাগন গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ মেক্সিকোতে চাষাবাদ হয় বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে ঊনবিংশ শতকের প্রথম দিকে ফরাসিরা এই ড্রাগন ফলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসার জন্য নিয়ে আসেন। বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাষ ব্যপকহারে শুরু হয়েছে।
পেজ সূচীপত্র
ড্রাগন ফলের পরিচিতি
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা জানার আগে এই ফলটি সম্পর্কে জানা দরকার। ড্রাগন ফলের নাম শুনে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে ড্রাগনের নাম অনুসারে এই ফলটির নাম ড্রাগন ফল। এই ফলটি হাইলোসেরিয়াস নামেও পরিচিত। গাছসহ ড্রাগন ফলের ছবি উপরে প্রদান করা হয়েছে।
ড্রাগন ফলের বাহিরের আবরণ পুরু বা মোটা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ ফলটি লাল টুকটুকে হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে গোলাপি, হলুদ বা বেগুনি বর্ণের হয়ে থাকে। ফলটির গায়ের চারপাশে কন্ঠযুক্ত সুঁচালো অগ্রভাগ থাকে। এই গাছের ডাটাগুলো ত্রিকোণ আকৃতির ও লম্বা হয় এবং কাটাযুক্ত। কোন কোন অঞ্চলে এ ফলটি পিটায়া নামেও পরিচিত।
পুষ্টিগুণে অতুলনীয় ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশ টুকটুকে লাল, কোন কোন ক্ষেত্রে সাদা হয়ে থাকে। এই ফলটির ভেতরের অংশে ঘন ঘন কালো রংয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিচি থাকে। ফলের সাঁস অংশ সামান্য মিষ্টি ও রসালো অর্ধ-কঠিন জেলি সদৃশ যা চামচ দিয়ে কেটে কেটে খাওয়া যায়।
ড্রাগন ফলের প্রকারভেদ
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব ড্রাগন ফল কত প্রকারের বা কত রকমের হয়ে থাকে। ফলের রাজা আম এর মত এর এরকম কোন প্রকারভেদ বা জাত ভেদ পাওয়া যায় না। তবে বলা যায় এই ফলটি গায়ের রং অনুসারে চার প্রকার। যথা:
আরো পড়ুন: বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম।
- ১. লাল রংয়ের ড্রাগন ফল।
- ২. বেগুনি রংয়ের ড্রাগন ফল।
- ৩. হলুদ রংয়ের ড্রাগন ফল।
- ৪. গোলাপি রংয়ের ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলের গায়ের রং যেমনই হোক পুষ্টিগুণ সবগুলোর প্রায় একই রকমের।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিমান ও পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে এখন আমরা ফলটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করবো। প্রতিদিন সঠিক ক্রিয়া-কর্ম করার জন্য মানব শরীরে যে পরিমাণে পুষ্টি দরকার হয় তা
নিশ্চিত করার জন্য আমাদের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন রকমের ফল থাকা উচিত। তার মধ্যে একটি হলো ড্রাগন ফল। ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের মধ্যে যে পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো।
আরো পড়ুন: এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি?
ড্রাগন ফলের পুষ্টিমান
উপাদানের
নাম |
পরিমাণ |
এনার্জি |
৬০ ক্যালরি |
কার্বোহাইড্রেট |
১৪
গ্রাম |
সুগার |
১০
গ্রাম |
ফাইবার |
৩
গ্রাম |
প্রোটিন |
২ গ্রাম |
ফ্যাট |
০
গ্রাম |
ভিটামিন
এ |
৫৮ আই ইউ |
ভিটামিন
সি |
৩ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম |
১৮ মিলিগ্রাম |
আয়রণ |
০.৫
মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম |
৪০
মিলিগ্রাম |
থায়ামিন (ভিটামিন বি১) |
|
রিবোফ্লাভিন (ভিটামিন বি২) |
|
নিয়াসিন (ভিটামিন বি ৩) |
|
ফসফরাস |
|
|
|
|
|
|
|
|
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে এখন আমরা আলোচনা করবো ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। আমরা উপরের আলোচনায় এ ফলের পুষ্টিগুণ
সম্পর্কে জেনেছি। অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফল মানব দেহের নানাবিধ উপকার করে থাকে। উপকারিতা গুলো নিম্নে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো।
ড্রাগন ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ড্রাগন ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ড্রাগন ফলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি। অন্যান্য খনিজ উপাদান গুলো ও ভিটামিন সি আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে ডেভেলপ করে তথা
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন পরিমাণ মতো (প্রায় ২০০ গ্রাম) ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে
দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ড্রাগন ফল। এফলটিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি এর মত উপাদান। যে উপাদান গুলো আমাদের হাড়ের গঠনে ও দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ভিটামিন সি দাঁতের মাড়ির স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে। সকলেরই নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত।
ড্রাগন ফল খেলে হার্ট বা হৃদপিণ্ড ভালো থাকে
আরো পড়ুনঃ আদর্শ চালকের কি কি গুণাবলী থাকা উচিত?
ড্রাগন ফলে বিদ্যমান বিটালিন রক্তের লোডেনসিটি অফ লাইপোপ্রোটিন (LDL) কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলের বিচিতে রয়েছে ওমেগা - ৩ ও ওমেগা - ৯ এর মত উপাদান যা হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ত্বকের যত্নে ড্রাগন ফল
ত্বকের যত্নে ড্রাগন ফলের ভূমিকা যথেষ্ট। বয়স বাড়তে থাকলে মেন্টালি চাপ বাড়তে থাকে ও ত্বকের উপরে বয়স্কের ছাপ পড়তে শুরু করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো আমাদের মানসিক চাপকে রিমুভ করে।
আরো পড়ুন: মধুর পুষ্টিগুণ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।
এই এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলো শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল গুলোকে ধ্বংস করে ও ত্বকের বার্ধক্য জনিত ছাপ (বলি রেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া, পোড়া ভাব, ইত্যাদি) রিমুভ করে। ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করে। এ ফলে সুগারের মাত্রা কম এবং ফাইবার বা আঁশ এর মাত্রা বেশি পরিমাণে থাকে। যে উপাদানগুলো শর্করার মাত্রাকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
এ ফলে বিদ্যমান ফাইবার গুলো অগ্নাশয় এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ইনসুলিন তৈরি ত্বরান্বিত করে ও গ্লুকোজ বা সুগার কে ভেঙে দেয়, ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমে সহায়তা করে ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফলের আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ যা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এগুলো ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদ্রান্ত্র এর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা বাড়য়। এই ফলে বিদ্যমান ফাইবার তথা প্রবায়োটিকগুলো হজমের সহায়তা করে।
ক্ষুদ্রান্তে শোষিত হওয়ার পূর্বে শোষণ উপযোগী করার জন্য এই ব্যাকটেরিয়া গুলো খাদ্যগুলোকে ভেঙে দেয়। যার কারণে খাদ্যগুলো সহজে হজম হয়ে খাদ্য রস ক্ষুদ্রান্তে শোষিত হয়ে শরীরের কাজে লাগে।
চোখ ভালো রাখে
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০ টি উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি হলো চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে অর্থাৎ ড্রাগন ফল খেলে চোখে দৃষ্টি ভালো থাকে। এ ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, এন্টিঅক্সিডেন্ট যা নিয়মিত খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে। চোখের অন্যান্য রোগের ( রাত কানা, ছানি ) ঝুঁকি কমে যায়। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে চোখ ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত তিন থেকে ছয় মিলিগ্রাম বিটা ক্যারোটি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফল খেলে বিটা ক্যারোটিন এর চাহিদা মিটে।
ড্রাগন ফল গর্ভাবস্থায় নিরাপদ ও উপকারি
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপকারিতা হলো গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল নিরাপদ ও উপকারী। মা-বোনদের গর্ভকালীন অবস্থা অত্যন্ত সেনসিটিভি একটি বিষয়।
এ সময়ে তাদের অনেক রোগ-শোক হয়ে থাকে। ড্রাগন ফল খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ড্রাগন ফল তাদের জন্য নিরাপদ। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে যে উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ।
- ১. ড্রাগন ফলে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সংক্রমণ রোগ থেকে গর্ভবতী মা-বোনদের রক্ষা করে এবং ভ্রুনের সেল গঠনে সহায়তা করা।
- ২. ড্রাগন ফলে বিদ্যমান বিভিন্ন ফ্যাটি এসিড গুলো গর্অভবতী মা-বোনদের অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয় এবং ফিটাসের মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়তা করে।
- ৩. গর্ভাবস্থায় মা-বোনদের রক্তস্বল্পতা একটা কমোন রোগ। এই সময় আয়রন সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল খেলে রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ে ও অন্যান্য রোগ-শোক কম হয়।
- ৪. গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ মা-বোনদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। ফাইবার বা আঁশ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ হাইপার এসিডিটি কমে যায়।
- ৫. ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ফলেট ও ফলিক এসিড ফিটাসের নিউরাল টিউব ও নার্ভাস সিস্টেম গঠনের সহায়তা করে।
চুলের যত্নে সহায়তা করে
ড্রাগন ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন। যেগুলো চুলের যত্নে অনেক উপকারী।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে প্রতিদিন দুধের সাথে ড্রাগন ফল খেলে চুল ঘন, কালো, সুন্দর, লম্বা ও উজ্জ্বল হয়। ত্বক ভালো রাখে চুল পড়া বন্ধ হয় ও অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া রোধ করে।
ড্রাগন ফল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
ড্রাগন ফল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ফেনোলিক এসিড, লাইকোপেন, ফ্ল্যাভোনয়েড, বিটাসায়ানিন ও এন্ট্রিঅক্সিডেন্ট গুলো রক্তে বিদ্যমান ফ্রী রেডিকেল গুলোর ক্ষতিকর কার্যকারিতাকে প্রতিরোধ করে।এই ফ্রি রেডিকেল গুলোই
আমাদের শরীরে ক্যান্সারের মতো ক্ষতিকর রোগ তৈরি করে এবং অকালে ত্বকের উপর বার্ধক্যের ছাপ ফেলে। ড্রাগন ফলে বিদ্যমান এই এন্টি অক্সিডেন্ট গুলো ফ্রী রেডিকাল এর কার্যকারিতা প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ক্যান্সারের মতো ক্ষতিকর রোগ থেকে রক্ষা করে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
পুষ্টিগুনে ভরপুর ড্রাগন ফল খাওয়ার ধরা-বাধা কোন নিয়ম নেই। যার যেভাবে রুচি হয় ষে সেভাবেই খেতে পারেন। পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রেখে ড্রাগন ফলটি নিম্নোক্তভাবে খেলে ভালো হয়।
- ১. খোসা ছাড়িয়ে এ ফলটি খেতে পারেন।
- ২. সালাত হিসেবে কুঁচি কুঁচি করে কেটে মাখিয়ে খেতে পারেন।
- ৩. খোসা ছাড়িয়ে জুস বানিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
- ৪. রান্না করার সময় অধিক তাপে সিদ্ধ হলে ফলটির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সে জন্য এই ফলটি রান্না করে না খাওয়াই ভালো।
- ৫. ড্রাগন ফলের স্মুর্দি বা জুস বানিয়ে তার সাথে হালকা বিট লবন মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে বেশি স্বাধ পাওয়া যায।
ড্রাগন ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সতর্কতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ অনেক। বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল খাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। ভালো লাগলে বা অনেক পুষ্টিগণ সম্পন্ন হলেও একসাথে
অনেকগুলো খাওয়া উচিত নয়। এত করে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেজন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার ব্যাপারে নিম্নোক্ত সতর্কতা গুলো অবলম্বন করা উচিত।
- ১. যারা ড্রাগন ফলের ব্যাপারে সমবেদনশীল তাদের সতর্কতার সহিত খাওয়া উচিত।
- ২. ড্রাগন ফল অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও নিরাপদ তবে বেশি পরিমাণে খেলে বদহজম বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- ৩. যাদের আগে থেকে এলার্জির সমস্যা আছে তাদের সতর্কতার সাথে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত। ড্রাগন ফল খেলে অনেক সময় এলার্জি হতে পারে।
- ৪. যাদের কিডনিতে বা পাকস্থলীতে পাথরের হিস্ট্রি আছে তাদের ড্রাগন ফল সতর্কতার সহিত খাওয়া উচিত। এতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের গঠন ত্বরান্বিত করতে পারে।
লেখক এর কথা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও ১০টি উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি এই ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনারা যারা আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই অবগত হয়েছেন এ ফলটি সম্পর্কে। এই ফলটি যেমন পুষ্টির চাহিদা মেটায় তেমনি অর্থেরও যোগান দেয়।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা ড্রাগন ফল সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন বলে আমি মনে করি। নিয়মিত প্রতিদিন পরিমাণ মতো ড্রাগন ফল খেয়ে রোগমুক্ত শরীর-স্বাস্থ্য গঠন করবেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
aksgreenit নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url